বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আজ ২৫ ডিসেম্বর। মাগুরার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও মাগুরা-২ আসন থেকে ৪বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সংসদের বিরোধী দলীয় পার্লামেন্টারী বোর্ডের সাবেক সচিব অ্যাডভোকেট আছাদুজ্জামানের ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী। দিনটি পালন উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠন আজ সকালে ভায়না পৌর কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত, শোক র্যালী, আলোচনা সভা,আসর বাদ তার নিজ গ্রাম মহম্মদপুরের মৌলবী জোকা গ্রামে সরকারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান কলেজ প্রাঙ্গনে তার রুহের মাগফেরাত কামনায় ইছালে ছওয়াব ও দোয়া মাহফিলসহ নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।উক্ত ইছালে ছওয়ার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মরহুমের পুত্র মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য এড, সাইফুজ্জামান শিখর। মরহুম আছাদুজ্জামান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসাবে ১৯৭১ সালে মাগুরা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন তিনি। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি পুর্ব পাকিস্তান প্রদেশিক পরিষদের এম.সিএ নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৭৯,১৯৮৬ এবং ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি শ্রেষ্ঠ তরুণ পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়।
মরহুম আছাদুজ্জামান ১৯৩৫সালের ১১ই নভেম্বর মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মৌলভী জোকা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে ছাত্রজীবনে তিনি আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬১ সালে তিনি মাগুরা বারে আইনজীবী হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন আন্দোলনে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সংস্পর্শে আসেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মাগুরা মহাকুমা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৬ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।