পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অপূর্ব সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি সিলেট। সেই বাস্তবতায় চোখজোড়া সৌন্দর্য উপভোগে দর্শনার্থীসহ পর্যটকদের ভিড় হয় গোটা সিলেটে। এই শীতেও সেরকম পরিবেশ পরিস্থিতি। যদিও করোনা পরিস্থিতি পর্যটকদের পা জড়িয়ে ধরেছে বেশি বেশি। তারপরও ইট পাথরের দুনিয়ার বাইরের নির্মল শ্বাস গ্রহণে ছুটে চলছে মানুষ। সেই মানুষের চোখে অনন্য এক স্থান সিলেট জৈন্তাপুরের রাজা রাম সিংহের স্মৃতিবিজড়িত ডিবির হাওর, ইয়াম, হরফকাটা কেন্দ্রীয় বিলসহ রয়েছে চারটি বিল। বিলগুলোকে কেন্দ্র করেই নাম করা হয়েছে ডিবির হাওর। চারটি বিলের অবস্থান আবার যেখানে-সেখানে নয়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে।
রাম সিংহের বিলগুলো এখন রূপ নিয়েছে শাপলার রাজ্যে। বিলে ফুটে থাকে অজস্র লাল শাপলা। লতা-পাতা-গুল্মে ভরা বিলের পানিতে লাল শাপলা হার মানায় ভোরের সূর্যের আলোকেও। সবুজ পাতার আচ্ছাদনে ঢাকা পড়ছে বিস্তীর্ণ জলরাশি। ভোরের আলোয় শাপলার হাসি আরও আলোকিত করে দেয় বিলগুলোকে। প্রকৃতি তার নিজ হাতে লাল শাপলার হাসিতে সাজিয়ে দিয়েছে বিলগুলোকে। বেড়াতে আসা যেকোনো ভ্রমণ পিপাসুদের মনের দুয়ার খুলে দিচ্ছে এই শাপলা বিল। ভোর থেকে শুরু হয় দর্শনার্থী ও পর্যটকদের পদস্পর্শ।
অপরদিকে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ের পার্শ্ববর্তী মায়াবী ঝর্ণা। ভারত থেকে নেমে আসা ঝর্ণার পানি টিলা বেয়ে বাংলাদেশ অংশে পড়ছে। আর সেই পানিতে হই-হুল্লোড় করছেন হাজারো পর্যটক। এবার অধিকাংশ পর্যটকের কাছে নতুন আবিষ্কৃত এ মায়াবী ঝর্ণা ঘিরেই বেশি আকর্ষণ দেখা যাচ্ছে। ঝর্ণাটি উপভোগ করার পাশপাশি পার্শ্ববর্তী জাফলং, খাসিপুঞ্জি, তামাবিল পয়েন্ট ও শ্রীপুর পর্যটন স্পটও দেখছেন পর্যটকরা। এছাড়া সবচেয়ে বেশি ভিড় গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত রাতারগুল এবং জল-পাথরের শয্যাখ্যাত বিছনাকান্দিতে। এ দুটি পর্যটন স্পটে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের ভিড় জমে। ব্যতিক্রম হয়নি এই শীতেও। এর বাইরে জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওর ঘিরেও পর্যটকদের ভিড়। এদিকে, রাতালগুলের স্থানীয় বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন বলেন, সিলেটে পরিহন ধর্মঘটের ফলে দর্শনার্থী ও পর্যটকরা আসতে পারছে না, তবে স্বাভাবিক দিকে ভিড় লেগেই থাকে রাতারগুলে। তিনি বলেন, করোনার তেমন প্রভাব পড়েননি রাতারগুলের সৌন্দর্য উপভোগে।
তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে পর্যটকদের আনাগোনা আশাতীত নয় বলে জানালেন নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার গোল্ডেন সিটি হোটেলের ব্যবস্থাপক মিষ্টু দত্ত। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলকভাবে পর্যটকের উপস্থিতি কম। মূলত করোনা পরিস্থিতিই এজন্য দায়ী। এর ফলে হোটেলের অধিকাংশ কক্ষ এখনো ফাঁকাই রয়ে যাচ্ছে।
সিলেট ট্যুরিজম ক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, সিলেটের পর্যটন স্পটে দর্শনাথীসহ পর্যটকদের ভিড় আশাপ্রদ। চলমান পরিবহন ধর্মঘটের ফলে পর্যটকরা সিলেটে এসে বেশ বিপাকে পড়েছেন তারপরও আসছে মানুষ। তিনি বলেন ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাস মূলত সিলেটে পর্যটকদের ভিড় থাকে। করোনা পরিস্থিতির সেই পথে কিছুটা বাধা, তারপরও মানুষের ঢল অবিশ্বাস। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের পর্যটক নির্ভর ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই খাতের সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।