Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজাররে শুঁটকি শিল্পে শিশুশ্রম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ৭:৪৭ পিএম

'শুঁটকি শিল্পে শিশুশ্রম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কমিউনিটি ফেয়ার' নামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া উপকূলীয় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন প্রাঙ্গনে।

বৃহস্পতিবার দিন ব্যাপী আয়োজিত এই মেলায় স্থানীয় পৌর কাউন্সিলার আক্তার কামাল এবং শিক্ষাবিদ, আইনজীবী, শুটকী খোলা প্রতিনিধি ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

মেলায় অর্ধশত মত বিভিন্ন সচেতনতামুলক প্রদর্শনী ষ্টল ছিল দৃষ্ট কাড়ার মত। সচেতনতামুলক এই মেলাটি আয়োজন করে যৌথভাব- ক্লাইম্ব প্রকল্প, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল-এর সকল সহযোগী সংগঠন, বিসিসিপি, ইপসা, একলাব, ইনসিডিন বাংলাদেশ এবং সুইট প্রমুখ।

পৌর কাউন্সিলর আক্তার কামাল বলেন, এলাকার শত শত শিশু অভাবের তাড়নায় স্কুল বিমুখ হয়ে শুটকি খোলায় কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। এরা সমাজের বোঝা হয়ে দাড়াবে। সুযোগ পেলে এই শিশুরা একদিন পড়ালেখা করে সম্পদে পরিনত হবে।

বিসিসিপির পরিচালক এবং নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন,
নাজিরার টেক শিশু পল্লী পরিদর্শনে গিয়ে তিনি ব্যথিত হয়েছেন। সেখান অসংখ্য শিশু পড়া লেখা ছেড়ে কঠোর পরিশ্রম করছে। তাদের স্কুলে ফেরাত উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।

ক্লাইম্ব ওইনরক ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম জামান বলেন, শুটকি পল্লীতে উল্লেখযোগ্য পরিমান শিশুরা কঠোর শ্রমে নিয়োজিত। এরা জাতির জন্য বোঝা হয়ে দাড়াতে পারে। এদেরকে শিক্ষিত করা গেলে জাতিকে দক্ষ জনশক্তি উপহার দেয়া যাবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশু শ্রম নিরসনে অনেক উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। অনেক আইন এবং পদক্ষেপ ও নিয়েছেন।
শিশু শ্রমে নিরোতসাহিত করার জন্য শিক্ষক, অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধদের তিনি আহবান জানান।

এড. সাকিয়া কাউসার সাকী বলেন, শুকি খোলায় শত শত শিশু কাজ করে। তারা বিদ্যালয়ে যেতে পারনা। তিনি তাদের পড়ালেখার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য জন প্রতিনিধি, ইমাম, অভিভাবক শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান ।
অনুষ্ঠানে শিফা নামের ৫ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, সে অভাবের কারণে শুকি খোলায় কাজ করে। তাই সে স্কুলে যেতে পারনা। সে সুযোগ পেলে পড়া লেখা করে একজন আইনজীবী হতে চায়।

অপর এক শিশু আব্দুল হাকিম জানায় সে শুটকি মহালে কাজ করে তার বাবা মাকে সহযোগিতা করে। তাই স্কুলে যেতে পারনা। সুযোগ পেলে সে স্কুলে যাবে। পড়ালেখা করে একজন ডাক্তার হবে।

এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে কয়েকজন অভিভাবক বলেন, তারা এই ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে উৎসাহিত হয়েছে। তারা তাদের শিশু সন্তানদের শুটকি খোলায় না পাঠিয়ে এখন থেকে স্কুলে পাঠাবেন।

মোহাম্মদ আমিন ও সৈয়দ করিম নামের দুইজন শুটকি খোলা মালিক বলেন, আগামীতে তারা শিশুদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিতে চিন্তা করবেন।

শিশু শ্রম বিষয়ে এই মেলায়া স্থানীয় শত শত নারী পুরুষের অংশ গ্রহণে বেশ জমজমাট ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ