বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ও লামা বনবিভাগের বিভিন্ন রেনজ থেকে হাতি ও হরিণের প্রিয় খাবার ‘লতাফুল’ পাচার হচ্ছে বিভিন্ন শহরে। সচেতন নাগরিকরা জানান, ‘লতাফুল’ বন্যপ্রাণি হাতি ও হরিণের প্রিয় খাবার। যা বনাঞ্চলের ভেতরে ঝিরি, হালকা জমে থাকা ডেরা পানিতে, কঁচি বাঁশ ও ঝাঁড়ঝোপের ঘেরাতে ফুটে এই ফুল। এসব আমরা ছোট থাকতে বনে শুকনো লাকড়ির জন্য গেলে তখন এই ‘লতাফুল’ দেখতাম। সম্প্রতি সময়ে দেখছি সেই লতাফুল কেটে বস্তা ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন শহরে পাচার করছে। এতে করে খাবার শূন্য হয়ে পড়ছে বনাঞ্চল।
জানা যায়, হাতি ও হরিণেরা খাবারের অভাবে ছুটে আসছে লোকালয়ে। ফলে বন খেকোদের হাতে অনেক সময় হাতির আকস্মিত মৃত্যু ঘটছে। গত ৮ নভেম্বর খুটাখালী বিটে গুলির আঘাতে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়। আবার লতাফুল, কঁচি বাঁশ, ঝোঁড়ঝাপ পাচারকালে ডুলাহাজারার মার্কাজ রোডে দাঁড়িয়ে কয়েকজন লোক টোকেনবিহীন রফতানি নামের অবৈধ টোল আদায় করে চলছে। এ খবর জানাজানি হলো নীরব থাকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। এসব বন্যহাতির খাবার অবৈধভাবে পাচার রোধ করতে বনবিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন নাগরিকেরা।
সামনে পড়া লতাফুল পাচারকারী জিয়াবুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার বাড়ী ডুলাহাজারায়। তিনি এসব লতাফুল কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের চেরাগিপাহাড় ও আন্দরকিল্ললায় বিক্রি করে। এসব ফুল প্রতি বস্তায় ৪৫০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা দামে বিক্রি হয়। তিনি আরো জানান, এসব আমরা চুরি করে পাহাড় থেকে আনি। কারণ এই লতাফুল হাতি ও হরিণের খাবার। ডুলাহাজারা মার্কাজ রোর্ড, চকরিয়ার সংযোগ সড়ক লামা, আলীকদম রোর্ড দিয়ে এসব লতাফুল আসে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে ডুলাহাজারার বনবিট কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ হোসেন বলেন, বনাঞ্চলের লতাপাতা, ঝোঁড়ঝাপ, গাছপালা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। সুতরাং কেউ এসব পাচার বা ক্ষতি করলে, তা প্রতিরোধ করা জন্য আমি ও বনবিভাগ সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়া সম্প্রতি উপজেলায় এসব বিষয়ে একটি জরুরি সভা রয়েছে। সেখানে আমি এসব বিষয় আলোচনা করবো বলে এ প্রতিবেদকে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।