বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নের দলিল লেখক রেজাউল করীম রিয়াজ হত্যা মামলাটি সিআইডিকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বরিশাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ। হত্যা মামলার প্রধান আসামি নিহতের স্ত্রী আমিনা আক্তার লিজাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে কয়েকজন ছিচকে চোরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছিলেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় নিহত রিয়াজের বড়ভাই ও মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন পুলিশের দাখিলকৃত তদন্তে হত্যা মামলায় ন্যায় বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন বলে দাবি করেন। তাই রিয়াজ হত্যা মামলাটি পুনঃতদন্তের আবেদন জানালে বিচারক বাদীর দরখাস্ত ও আইনজীবীর বক্তব্য শুনানি শেষে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন সিআইডি পুলিশকে।
আলোচিত রিয়াজ হত্যা মামলাটি দুই দফা কোতয়ালী থানা পুলিশের তদন্তে থাকাকালীন সময়ে বাদীর আবেদন ছাড়াই ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা মামলাটি বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করে। পরবর্তীতে ডিবির ইন্সপেক্টর মো. সগির হোসেনকে রিয়াজ হত্যা মামলা তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। মো. সগির হোসেন তার দায়িত্ব ও মামলার তদন্তকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে চার ছিচকে চোরকে আটক করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করান।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী মনিরুল ইসলাম রিপন অভিযোগ করে বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্তের নামে দীর্ঘদিন করোনার অজুহাতে কালক্ষেপণ করেন এবং সরেজমিনে তদন্ত না করে মামলার প্রধান আসামি আমিনা আক্তার লিজাকে রক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এ ঘটনা বুঝতে পেরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে সিআইডি দিয়ে সুষ্ঠুভাবে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করেন।
২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপনকালে খুন হয় রিয়াজ। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকা অবস্থায় হত্যাকারীরা রহস্যজনকভাবে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে স্ত্রী লিজা জানালা খুলে বাহিরে এসে চিৎকার দিয়ে জানান রিয়াজকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্তের এক পর্যায়ে পুলিশ স্ত্রী লিজাকে স্বামী রিয়াজ হত্যায় জড়িত সন্দেহে আটক করে। থানা পুলিশের তদন্ত চলার এক পর্যায়ে এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।