মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন অন্যায় নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানসহ আরো অন্যান্য দেশ করোনা ভ্যাকসিন আমদানি করতে পারছে না। বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোকেও চিন্তিত করে তুলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠনগুলোর জোট এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ইরানের ভ্যাকসিন আমদানিতে কোনো বাধা থাকবে না।
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী ও ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার বিশ্বের সব দেশের রয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থেনিও গুতেরেস বলেছেন, করোনা ভ্যাকসিন কেউ পাবে কেউ পাবে না তা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং উন্নত দেশগুলোর উচিত অন্য দেশগুলোকে এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা।
এদিকে, ইরান যাতে ওষুধ ও ভ্যাকসিনসহ কোনো কিছুই আমদানি করতে না পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র এ দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। জাতিসংঘের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক পরিষদের প্রধান মনির আকরাম ইরানসহ আরো কয়েকটি দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন একতরফা নিষেধাজ্ঞা এবং এ দেশগুলোর করোনা ভ্যাকসিন আমদানিতে বাধা দেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সবারই ভ্যাকসিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
বাস্তবতা হচ্ছে, মার্কিন সরকার যদিও দাবি করছে ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তালিকায় ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রিকে বাদ দেয়া হয়েছে কিন্তু তারপরও তারা যেহেতু ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে সে কারণে ইরান কোনো কিছুই আমদানি করতে পারছে না। এমনকি ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ আরো অন্যান্য জটিল রোগের ভ্যাকসিনও ইরান আমদানি করতে পারছে না। ইরানের করোনা প্রতিরোধ দফতরের প্রধান ডা. মোস্তফা কানেয়ি এ ব্যাপারে বলেছেন, মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করছে এবং ইরানের জনগণকে তারা টার্গেট করেছে। এমনকি অর্থ পরিশোধ করা সত্বেও মার্কিন বাধার কারণে ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিনও ইরান আমদানি করতে পারছে না।
এ অবস্থায় মার্কিন সরকার ইরানের ওপর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছ। এমনকি আন্তর্জাতিক সমালোচনা সত্বেও করোনার ভ্যাকসিন আমদানিতেও তারা বাধা দিচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসের অনেক সদস্যও সরকারের এ আচরণের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।