পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিগগির গণ অধিকার পরিষদের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। গতকাল দুপুরে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ কথা বলেন। ডাকসুতে হামলার এক বছর পূর্তি ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এ সময় নুরুল হক নুর বলেন, আজকে দেশে তারুণ্যের যে গণআন্দোলন শুরু হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠনে আজকে তরুণ সমাজ নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে কাজ করছে বলে অত্যাচার করছেন। আমরা এই অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছি। শিগগির আমাদের দল গণ অধিকার পরিষদের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে।
তিনি বলেন, জনগণ গণতন্ত্রহীনতা ও বিচারহীনতায় ভুগছে। দীর্ঘ ১২ বছরে দমন-পীড়ন করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে সরকার। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানে নোংরা দলীয়করণের মাধ্যমে দেশে একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে। দেশের গণতন্ত্রকামী জনতা একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হতে দেবে না। ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নিলে বর্তমান সরকারের পরিণতি হবে আইয়ুব খান, এরশাদের মতো স্বৈরশাসকদের মতোই। চতুর্দিক থেকে জনগণ ফুঁসে উঠছে।
এর আগে গতকাল সকালে দেশে সাংবাদিক হত্যা, বুয়েটে আবরার হত্যা, কুমিল্লায় তনু হত্যা, কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যাসহ সব হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে ডাকসু ভবনে হওয়া হামলায় আহত তুহিন ফারাবি, আদিব আরিফ, মশিউর রহমান ও আকরাম হুসাইন বক্তব্য দেন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ করেন। এরপর কালো পতাকা মিছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেন তারা।
এদিকে ডাকসু ভবনে হওয়া হামলার ঘটনার এক বছর হয়ে গেলেও এখনো তদন্তই শেষ করতে পারেনি কমিটি। কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা বলতে পারছি না।
উল্লেখ্য, গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুলের কক্ষে বাতি নিভিয়ে হামলা চালান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে নুরুলসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। এই হামলার আগে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতা-কর্মীরা সেখানে ভাঙচুর চালান। হামলার ঘটনা তদন্তে পরদিন ২৩ ডিসেম্বর ৬ সদস্যের কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।