পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাঙালীর প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রথম বারের মতো স্থাপন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’। যা সাজানো হয়েছে জাতির পিতার দুর্লভ ছবি দিয়ে। আর তা দেখতে জনসাধারণের ভিড় জমেছে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারের’ এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। যার মূল উদ্যোক্তা ডাকসুর স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী।
বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখা যায়, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ এখানে স্থান পেয়েছে। এছাড়াও বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, বিভিন্ন দেশী-বিদেশী পত্রিকার সংবাদ ও বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ ছবি দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে এটি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত সকল ধরণের বইসমূহও প্রদর্শন করা হয়। এই প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধনী দিন থেকেই শুরু হয়। যা প্রতি শুক্রবার-শনিবারসহ বিশেষ দিনগুলাতে এই আয়োজন থাকছে।
আয়োজনের বিষয়ে সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, বইমেলাতে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন উদ্যোগ এর আগে কখনো না হওয়ায় তারা এগুলো মিস করত। প্রথম বারের মতো এই আয়োজন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এখানে বঙ্গবন্ধুর সব ধরণের দুর্লভ ছবি প্রদর্শন করা হয়েছে। সবচেয়ে ভাল লাগছে এখানে সব বয়সের মানুষ আসছে। তারা প্রদর্শনী দেখছে, ছবি তুলছে।
মেলায় অপ্রতুল একুশের বই: ফেবুয়ারি ২১ তারিখ, বাংলা ভাষা, ভাষার জন্য আন্দোলন বাঙালি জাতির অস্তিত্ব, আগ্রহ আর আবেগের জায়গা। অন্যদিকে অমর একুশে গ্রন্থমেলাও এ দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মিলনমেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বইমেলা ও একুশের চেতনা নিয়ে সারা পৃথিবীর মানুষের ভালোবাসার কমতি না থাকলেও বাংলাদেশে রয়েছে এনিয়ে পরিকল্পনার কমতি। অমর একুশে বইমেলা শুধু বই বিক্রিই মূল বিষয় নয়। এর সঙ্গে মিশে আছে গৌরবগাঁথা ইতিহাস।
যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে বাঙালির একুশের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যাচ্ছে না। ফলে দিন গড়ানোর সাথে সাথে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। বইমেলা তার দু’তৃতীয়াংশ সময় পার করেছে। এ সময়ের মধ্যে প্রকাশ হয়েছে ৩ হাজারের মত নতুন বই। তবে যে মহান ঘটনাকে কেন্দ্র করে বইমেলা সে ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত নতুন বইয়ের সংখ্যা খুবই কম। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও পূর্বাপর নিয়ে গবেষণার অভাবে এসম্পর্কিত নতুন বই কম আসছে বলে জানান প্রকাশকরা।
বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ থেকে আলাদা ক্যাটাগরি করে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত নতুন বইয়ের সংখ্যা জানানো হলেও ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত নতুন বইয়ের সংখ্যা জানানো হয়না। তবে মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরলে প্রত্যেক সচেতন সমালোচকেরই চোখে পড়বে যে একুশ নিয়ে নতুন প্রকাশিত বই খুবই অপ্রতুল। মেলাপ্রাঙ্গণ ঘুরে একুশ বা ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি বই পাওয়া গেছে। এরমধ্যে অধিকাংশই মানহীন আবেগ নির্ভর লেখা বলে মনে করছেন বিষেজ্ঞরা। তাই ভালো ইতিহাস নির্বর বই প্রকাশে জোর দিচ্ছেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।