পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুবমহিলা লীগের সাবেক নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন দিনের রিমান্ডের আওতায় গতকাল সোমবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থার উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ। বিকেল পৌনে ৪টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। আজও ( মঙ্গলবার) তাদের জিজ্ঞাসাবাদের কথা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের আগে তাদের কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুদক কার্যালয়ে আনা হয়।
এর আগে দুদক কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৪ ডিসেম্বর আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল ছিলো রিমান্ডের প্রথম দিন।
প্রসঙ্গত: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৪ আগস্ট দুপুরে শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের মধ্যে আছে বিলাসবহুল হোটেল ওয়েস্টিনে বিল হিসাবে জমা দেয়া সাড়ে ৩ কোটি টাকা,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা ৬০ লাখ টাকা ও নরসিংদীর একটি বাড়ি।
তবে পাপিয়া দম্পতির মাদক ব্যবসা,জাল টাকা তৈরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছিলো দুদক। অনুসন্ধান পর্যায়ে আদালতের অনুমতিক্রমে গত ২০ জুলাই কারাগারে তাদের একবার জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হোটেল ওয়েস্টিনে চারটি কক্ষের চার মাস ৯ দিনের ভাড়া, খাবার, আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট বিল সাড়ে ৩ কোটি টাকা পরিশোধের তথ্য মেলে পাপিয়ার। নর-নারীসহ তিনি ১১ জন মানুষ নিয়ে নিয়মিত ওয়েস্টিন হোটেলে বসবাস করতেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে পাপিয়ার ৮৮ জোড়া জুতা উদ্ধার করা হয়।
চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে আটক করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।