বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
‘আর কয়দিন পরেই প্রথম সন্তানের জন্ম হবে, অথচ আমি তার মুখ দেখতে পারবো না’ বলেই হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন সোহাগ খান। এসময় পাশে বসা সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম, বৃদ্ধ মা মাকসুদা বেগমসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সোহাগ খান ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি। সন্ত্রাসীরা তার দুটি চোখ নষ্ট করে দেয়ায় পুরো পরিবারটির জীবন জীবিকা অনিশ্চয়তার মুখে। সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্ত হয়ে মামলা তুলে নেয়ারও হুমকি দিচ্ছে। ফলে সোহাগের গোটা পরিবার এখন আতঙ্কের মধ্যে। গতকাল বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন সোহাগ খান ও তার পরিবার। সোহাগের বোন মুন্না আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
সোহাগ বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীর সংলগ্ন মোহাম্মদপুর চরের বাসিন্দা। ভাঙ্গারি সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের তিন সহোদর গত ৪ ডিসেম্বর হামলা করে তার দুটি চোখই নষ্ট করে দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সোহাগ বলেন, চরের খাসজমি নিয়ে একই এলাকার মোবারক হোসেনের পরিবারের সঙ্গে তাদের ৬-৭ বছর যাবৎ বিরোধ চলছে। কয়েক বছর আগে তাদের জমি দখল করে নিয়েছে মোবারক হোসেনের পরিবার। এ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৪ ডিসেম্বর সকালে নগরীর হাটখোলা হকার্স মার্কেটে সোহাগের ওপর হামলা চালায় মোবারকের তিনপুত্র সাইফুল, আল আমিন ও রাব্বী। সাইফুল ও রাব্বী তাকে চেপে ধরলে আল আমিন মোটর সাইকেলের চাবি দিয়ে খুঁচিয়ে দুটি চোখ নষ্ট করে দেয়। ওই তিনজনসহ তাদের বড় ভাই নাজমুলকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার উপ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই ভাই আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়েছে। আসামি অপর দুইভাইও আদালত থেকে জামিন নিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে ওই মামলায় তাদের পুনরায় গ্রেফতারের কোন সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।