Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভিযুক্ত ইসির বিরুদ্ধে অভিশংসনের উদ্যোগ নিন

৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ, বিবৃতিতে আ স ম রব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নির্বাচন কমিশনের বিচার দাবিতে ৪২ বিশিষ্ট নাগরিকের উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক আ স ম আব্দুর রব। তিনি আশা প্রকাশ করেন, গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে অভিশংসনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের জন্য জরুরি প্রয়োজন। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আ স ম রব বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণের ভোটাধিকার প্রশ্নে সাংবিধানিক দায়িত্ব ও নৈতিক কর্তব্য পালন না করে ‘সংবিধান লঙ্ঘন’ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বপ্নকে বধ্যভ‚মিতে পরিণত করেছে, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বড় ধরনের কৌতুকে রূপান্তর করেছে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অর্জন। এগুলোকে কোনোভাবেই ধ্বংস করা যায় না। এ নির্বাচন কমিশন রক্তরঞ্জিত বাংলাদেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন দেশের নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব লঙ্ঘন করে গুরুতর অসদাচরণ, অনিয়মসহ আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে তদন্তের মাধমে কমিশনকে অপসারণ করা রাষ্ট্রের নৈতিক কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যদি সংবিধান লঙ্ঘন করার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করতে থাকে তাহলে প্রজাতন্ত্র বিলুপ্ত হবার পথে ধাবিত হবে।
আ স ম রব বলেন, নির্বাচন কমিশন প্রশ্নে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তা সমগ্র জাতির বিবেকের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছে। বিবেক বিক্রির প্রতিযোগিতার মধ্যেও ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবেকের যে বার্তা নিয়ে জাতির সামনে হাজির হয়েছেন তা গণতান্ত্রিক ও শাসনতান্ত্রিক সঙ্কট নিরসনে আলোকবর্তিকা হিসেবে ভূমিকা রাখবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যৌথ আক্রমণে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এখনও যদি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করা না যায় তাহলে বড় ধরনের প্রলয়ঙ্কারী ঘটনা আমাদের অস্তিত্বকেই সংকটাপন্ন করে তুলবে।

তিনি বলেন, আমরা বহুদিন ধরেই সাংবিধানিক জটিলতার প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট সাংবিধানিক আদালত গঠনের দাবি উত্থাপন করে আসছি। এ সাংবিধানিক আদালত সাংবিধানিক বিষয়সহ নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্নে সর্বোচ্চ স্থায়ী সংস্থা হিসেবে ভূমিকা রাখবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ