মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যুক্তরাজ্যের পর এবার নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া এবং ইতালিতেও নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২০ ডিসেম্বর) এ খবরটি নিশ্চিত করেছে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা ও রয়টার্স।
ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে নতুন যে প্রজাতির সন্ধান পাওয়া গেছে ওই ইতালীয় নাগরিকের শরীরেও সেই একই প্রজাতির করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। বর্তমানে আইসোলেশনে থাকা ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে এক ফ্লাইটে তার সঙ্গীকে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক জানিয়েছেন, নতুন প্রজাতির এই ভাইরাস থেকে ফের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এবং তার গতি আগের চেয়েও বেশি।
এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিমান চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আরও কয়েকটি দেশ এমন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে। আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, সুইজারল্যান্ড ও তুরস্ক বিভিন্ন মেয়াদে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ইতিমধ্যে সউদী আরব যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সকল ফ্লাইট বাতিল করেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, লন্ডন ও দক্ষিণপূর্ব ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটি ৭০ শতাংশেরও বেশি সংক্রামক।
নতুন ও আরও বেশি সংক্রামক শক্তিসম্পন্ন করোনাভাইরাসের নতুন এ প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় লোকজনকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ইতোমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে এই বিষয়ে জানিয়েছি। চিকিৎসা পরিষেবার ওপর এর প্রভাব পড়েছে। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শনিবার লন্ডনসহ দক্ষিণ ইংল্যান্ডে আবারও লকডাউন জারির ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস আগের চেয়ে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তা আগের প্রজাতির চেয়ে বেশি প্রাণঘাতী নয় বলে মনে করা হচ্ছে। নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়াতেও এই নতুন প্রজাতির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এই প্রজাতি করোনা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায় বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য করোনাভাইরাসের রুপান্তরের তথ্য তাদের সঙ্গে বিনিময় করছে। সংস্থার পক্ষ থেকে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই বিষয়ে অবহিত করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
সংস্থাটির এপিডেমিওলোজিস্ট মারিয়া ভ্যান কারখোভ জানান, তাদের বিশেষজ্ঞরা মহামারির শুরু থেকেই ভাইরাসটির রুপান্তরে নজর রাখছেন। নিয়মিতই এমন রূপান্তর চিহ্নিত করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এসব প্রজাতি কেমন আচরণ করে। সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।