Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইন্দুরকানীতে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে এক শিক্ষকের স্থানে অপর এক শিক্ষককে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উপজেলার এস ইন্দুরকানী এস এস আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে সহকারি শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে এ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৮ অক্টোবর উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের মেয়ে মাহামুদা খানমকে এস ইন্দুরকানী এস এস আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বরে এমপিও ভুক্তির জন্য মাহামুদার যাবতীয় তথ্যাদি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার।
এমপিও ভূক্তির পূর্বে মাহামুদার নিয়োগের যাবতীয় কাজগপত্র সম্পূর্ণ জালিয়াতি করে একই তারিখে একই পদে নাজিরপুর উপজেলার আব্দুল জলিল মৃধার ছেলে মো. মহোর আলী মৃধাকে নিয়োগ প্রদান করেন অসীম। কৌশলে মাহামুদার পরিবর্তে মহোর আলীর তথ্যাদি মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করে এমপিও ভুক্ত করা হয়।
এমনকি জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারি শিক্ষক মহোর আলীর নিয়োগের কাগজপত্র অগ্রায়নের জন্য ২০১৯ সালের ২০ মে ইন্দুরকানী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর একেএম আবুল খায়ের জেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য দিপংকর চন্দ্র ঢালী অসীম কুমারের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর একেএম আবুল খায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি ফোনে কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন। এ প্রতিবেদককে তার অফিসে গিয়ে সামনা-সামনি কথা বলতে বলেন।
২০০৪ সালের বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আসাদুল কবির স্বপন জানান, আমার সময়ে মাহামুদাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মো. মহোর আলী মৃধা নামের কাউকে আমরা নিয়োগ দেই নাই। এ নামের কোন নিয়োগ প্রার্থীও ছিলো না।
শিক্ষক নিয়োগ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক অসীম কুমার মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাহামুদা খানমকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। নিয়োগ দেয়া হয়েছে মো. মহোর আলী মৃধাকে।
ভুক্তভোগী মাহামুদা খানম জানান, আমার কাগজপত্র জালিয়াতি করে অন্য এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তার নিয়োগ বাতিল করে আমাকে এমপিও ভুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিয়োগে-অনিয়ম
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ