পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে দুইদিনের জোড় ইজতেমা গতকাল সমাপ্ত হয়েছে। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ইহ ও পরলৌকিক কল্যাণ কামনা করে মহান রাব্বুল আলামীনের কাছে অশ্রুসিক্ত নয়নে মিনতি জানানো হয়। গভীর ভাবাবেগপূর্ণ পরিবেশে ‘আমীন, আল্লাহুম্মা আমীন’ ধ্বনিতে মহামহিম ও দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে রহমত কামনা করেছেন তিন চিল্লার সাথীরা। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বি মাওলানা ফারুক আহমেদ। দুপুর ১২টা ১৮ মিনিট থেকে শুরু করে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ১২ মিনিট স্থায়ী মোনাজাতে হাজারো কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে আল্লাহর মহত্ত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরুব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের ব্যাপারে কিছুদিনের মধ্যে সরকারের ইজতেমা সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ আলোচনার পর বলা যাবে আগামী ইজতেমা স্বল্প পরিসরে হবে নাকি বৃহৎ আকারে হবে।
গতকাল বাদ ফজর তিন চিল্লার মুসল্লিদের উদ্দেশে উর্দু ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন পাকিস্তান রায়ভেন্ড মারকাযের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি মাওলানা ফাহিম আহমেদ। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা দেলোয়ার হোসেন। মোনাজাতপূর্ব হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মারকাযের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বি ডা. নওশেদ। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আব্দুস সবুর।
জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎ মিস বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তিন চিল্লার সাথীদের ২৪ ঘণ্টার পরামর্শসভা শেষ হয়েছে। পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী মোনাজাতের পরপরই সমবেত মুসল্লিরা ময়দান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৮, ৯ ও ১০ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৫, ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা হওয়ার কথা রয়েছে। করোনা মহামারির কারণে আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে কিনা বা হলেও বড় আয়োজনে হবে নাকি সীমিত পরিসরে হবে তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।