বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পৌরজামতলা থেকে রাজবাড়ী জেলা সদরে যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ বেরিবাঁধ সড়কে সৃষ্ট খানা-খন্দের কারণে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে করে এ সড়ক দিয়ে যাতয়াতকারী যানবাহন ও লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
জানা যায়, অল্প সময়ে রাজবাড়ী সদরে সহজে যাতায়াতের জন্য বিকল্প সড়ক হিসেবে বেরিবাঁধ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ।ভূমিকা পালন করে আসছে। পদ্মা পাড়ের দেবগ্রাম, ছোটভাকলা, রাজবাড়ী সদরের বরাট ও পাঁচুরিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার হেক্টর ফসলী জমির উৎপাদিত সবজিসহ কৃষি পণ্য এই সড়ক দিয়ে সহজে বাজারজাত করা হয়ে থাকে। এছাড়া ওই চারটি ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম এই বেরিবাঁধ সড়ক। সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বছরের পর বছর প্রতিনিয়ত এ সড়কটি মেরামত কাজ করে চলাচলের উপযোগী রাখা হতো। কিন্তু সড়কটি প্রশস্ত করে নতুন সড়ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এতে করে বন্ধ হয়ে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক সংস্কার কাজ। প্রায় দুই বছর আগে শুরু হয় নতুন সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে সড়কের পাশের গাছ কাটাসহ অন্যান্য কাজ। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাছ কাটা শেষ করলেও সড়ক নির্মাণ কাজে দৃশ্যমান তেমন কোন অগ্রগতি নেই। ইতোমধ্যে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্ত হয়ে সব রকমের যান চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই ঘটছে কোন না কোন দুর্ঘটনা। সড়কের মধ্যে সৃষ্ট গর্তে পড়ে উল্টে যাওয়াসহ বিকল হচ্ছে যানবাহন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এই সড়ক দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, মানুষেরও হেঁটে চলাচল করার উপায় নেই। নতুন সড়ক নির্মাণ করা বিলম্ব হলে অন্তত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানান তারা।
অটোরিকশা চালক রহিম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বেরিবাঁধ সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে তাই বেরিবাঁধ সড়কের পরিবর্তে অনেক কষ্ট করে রেললাইনের পাশ দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়েই তারা চলাচল করছেন। জরুরি প্রয়োজন হলেও বেরিবাঁধ সড়ক দিয়ে অটোরিকশা চালানো যায় না।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী জানান, গুরুত্বপূর্ণ বেরিবাঁধ সড়কটি বর্তমানে চলাচলের সম্পন্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটির এ অবস্থায় চারটি ইউনিয়নের মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। কেউ অসুস্থ হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নেয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে সড়কটির কারণে।
এ প্রসঙ্গে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম হোসেন জানান, গুরুত্বপূর্ণ বেরিবাঁধ সড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার পৌরজামতলা থেকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার মৌলভীঘাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা ১২ ফুটের স্থলে ১৮ ফুট করা হচ্ছে। এতে ৩১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। যা চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা ছিলো। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০২১ সালের জুন মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত কতটুকু সড়কের কাজ শেষ হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজবাড়ী সদরের মধ্যে এক থেকে দেড় কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।