Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন খুলনা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৪৪ পিএম

ম্যাচটা অন্যরকমও হতে পারতো। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান-সংগ্রাহক লিটন দাসের ব্যাটে রচিত হতে পারতো জয়। অথবা সৌম্য সরকারের ক্যাচ ফেলার জন্য ইমরুল কায়েস খলনায়ক হতে পারতেন। অথবা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বদলে সৈকত আলির ভাগ্যে জুটতে পারতো জয়মাল্য।

শেষ পর্যন্ত তা হলো না। মাহমুদুল্লাহই ম্যাচসেরা হলেন, তাতে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের চ্যাম্পিয়নও তার দল জেমকন খুলনা।

মাহমুদুল্লাহর অপরাজিত ৭০ রানে ভর করে ফাইনালে খুলনা তুলেছিল ১৫৫। সেই রান তাড়া করতে নেমে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম করতে পারল ১৫০। পাঁচ রানের জয়ে তাই শিরোপা খুলনার ঘরে।

অথচ গ্রুপ পর্বে খুলনার বিপক্ষে দুটি ম্যাচই জিতেছিল চট্টগ্রাম। অথচ প্লে-অফ পর্ব থেকে উল্টো চিত্র। প্রথম কোয়ালিফায়ারে বিশাল জয় পেয়েছিল খুলনা। ফাইনালে ব্যবধানটা কমে আসলেও জয় খুলনারই।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য ম্যাচশেষে জয় খুলনার হবে, সেটি মনে হয়নি। সকাল এদিন দিনের ঠিকঠাক পূর্ভাবাস দিতে পারল না, সে কৃতিত্ব অবশ্য মাহমুদুল্লাহর।

প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর সপ্তম ওভারের মধ্যেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। সেখান থেকে বাকিটা মাহমুদুল্লাহ-কাব্য।

অন্য প্রান্তে কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। একবার ভুল সিদ্ধান্তে আউটও হয়েছিলেন, রিভিউ নিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন। এরপর মাহমুদুল্লাহ একাই দলকে টেনে নিয়ে যান ১৫৫ রানে। শেষ ওভারে সৌম্যর বলে ১৭ রান নিয়ে মাহমুদুল্লাহ খুলনাকে পৌঁছে দেন সেখানে।

আশ্চর্যজনকভাবে, জয়ের জন্য শেষ ওভারে চট্টগ্রামের চাওয়া ছিল ১৬। কিন্তু তাদের দলে মাহমুদুল্লাহ ছিলেন না। নাহিদুল ইসলাম শেষ বলে ছয় মারলেও তাই পাঁচ রানে জয়ই পায় খুলনা।

১৫৬ রান তাড়ায় শুরুটা মন্দ করেনি চট্টগ্রাম। তিন ওভারে ২৩ রান তুলে নিয়ে লক্ষ্যেই ছিলেন তারা। কিন্তু শুভাগত হোমের চতুর্থ ওভারেই হিসেবে পাকে গোলমাল।

সৌম্য আউট হতে পারতেন ওভারের দ্বিতীয় বলেই। কিন্তু বল বাতাসে তুলে দিলেও সেই ক্যাচ ধরতে পারেননি ইমরুল, অবশ্য তাতে ক্ষতি হয়নি তেমন খুলনার।

এক বল পরেই যে বোল্ড সৌম্য! পরের ওভারেই আল-আমিন হোসেনের বলে লেগ বিফোর হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি, ফিরতে হয় সাজঘরে।

নবম ওভারে লিটন রান আউট হলে, ম্যাচ হেলে পড়ে খুলনার দিকে। কিন্তু সেখান থেকে চট্টগ্রামকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন সৈকত আলি ও শামসুর রহমান।

তাদের ৪৫ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম। শামসুর ফিরে গেলেও মোসাদ্দেককে নিয়ে জয়ের পথে ছিলেন তারা। চার ওভারে ৪৭ রান লাগলেও সেখান থেকে আল-আমিন ও শহিদুলের দারুণ দুই ওভারে সমীকরণ নেমে আসে দুই ওভারে ২৯ রানে।

হাসান মাহমুদের করা ১৯তম ওভারে প্রথম পাঁচ বলে আসে মাত্র সাত রান। কিন্তু শেষ বলে মোসাদ্দেক ছয় মারলে আবারও জয়ের আশা ফিরে পায় চট্টগ্রাম।

কিন্তু তা আর হয়নি। শেষ ওভারে পরপর দুই বলে মোসাদ্দেক ও সৈকতকে ফিরিয়ে ম্যাচ কার্যত শেষ করে দেন শহিদুল। শেষ বলে নাহিদুল ছয় মারলেও পাঁচ রানের জয় তুলে নেয় খুলনা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: জেমকন খুলনা ১৫৫/৭, ২০ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৭০*, জাকির ২৫, নাহিদুল ২/১৯, শরিফুল ২/৩৩); গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ১৫০/৬, ২০ ওভার (সৈকত ৫৩, শামসুর ২৩, শহিদুল ২/৩৩, আল-আমিন ১/১৯)



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ