Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের অবিচ্ছেদ্য অংশ : পুতিন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:০৮ পিএম

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলের যুদ্ববিরতির বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভøাদিমির পুতিন এ তথ্য জানান।
মস্কোর একটি বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিতে এই অঞ্চলগুলো আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সের সমন্বয়ে গঠিত মিনস্ক গ্রুপে এভাবেই আমাদের অবস্থান গঠিত হয়েছে। অনেক বছর ধরে আমরা সব সময় এটা মনে করেছি নাগরনো-কারবাখের আশেপাশের সাতটি অধিষ্ঠিত অঞ্চলকে আজারবাইজানের কাছে ফিরিয়ে দেয়া উচিত।’
পুতিন আরো বলেন, ‘আর্মেনিয়া ও নাগরনো-কারাবাখের মধ্যে একটি যোগাযোগ চ্যানেল বিনির্মাণের বাধ্যতামূলক শর্তে নাগরনো- কারাবাখের বর্তমান অবস্থা অপরিবর্তিত থাকা উচিত। নাগরনো-কারাবাখ এবং আর্মেনিয়াকে সংযুক্তকারী লাচিন করিডোর এজন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
‘নাগরনো-কারাবাখের বর্তমান অবস্থা সমাধান করা উচিত’ উল্লেখ করে পুতিন জোর দিয়ে বলেন, ‘নাগরনো-কারাবাখের অবস্থা ভবিষ্যতের কাছে হস্তান্তর কারা উচিত।’
কারবাখের সর্বশেষ সংঘাতের বাহ্যিক কারণগুলো সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই উত্তেজনা অনেক বছরের।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না এটা কোনো বহিরাগত হস্তক্ষেপের কারণে হয়েছে। সেখানে উত্তেজনা ছিল, সংঘাত ছিল এবং কিছূ গোলগুলি হয়েছে। যার ফলে এটা সংঘাতে পরিণত হয়েছিল।’
পুতিন উল্লেখ করেন, যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হওয়ার পর রাশিয়া, আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যে সম্পাদিত ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি সংঘাতে জড়িত পক্ষগুলোকে তাদের অঞ্চলে সুরক্ষিত করেছে।
এই অঞ্চলে রাশিয়ান শান্তিরক্ষী বাহিনীর সংখ্যা বাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সব পক্ষের অনুমোদন নিয়েই কেবল এটি করা সম্ভব। কারণ যুদ্ধবিরতি চুক্তির খসড়া তৈরির সময় এই বাহিনীর আকার নিয়ে আলোচনা ও মতৈক্য হয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, সবাই যদি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছে যে শান্তিরক্ষী বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, তবে আমরা বাড়াবো, নয়তো বাড়াবো না,’।
১৯৯১ সালে আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনী আজারবাইজানের অংশ হিসাবে স্বীকৃত অঞ্চল নাগারনো-কারাবাখ ও পার্শ্ববর্তী আরো সাতটি অঞ্চল দখল করার পর থেকেই সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সূত্র : ডেইলি সাবাহ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ