বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের বুক চিরে প্রবাহমান নদীটির নাম বাসিয়া। এক সময়ের এই নদীর ভরা যৌবন ছিল। নদী দিয়ে ছোট জাহাজ, লঞ্চ, স্টীমার, পাল তুলা নৌকা চলাচল করত। নদীর তীরের মানুষ বছরের প্রায় ৮ মাস শতাধিক প্রজাতির মিঠা পানির মাছ ধরতে পারতেন।
শীতকালে নদীর দুই তীরে ইরি বোরোসহ প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হতো। কৃষক কৃষাণীর ঘরে কোন অভাব অনটন ছিল না। সময়ের পরিবর্তে সুরমা থেকে উৎপত্তি হওয়া বাসিয়া নদীটি মরে যায়। দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ নদী খননের দাবিতে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ স্মারকলিপি দেয়া হয়। নদীর দুই তীরের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে পত্র পত্রিকায় অনেক সংবাদ প্রকাশ হয়। কিন্তু এখনও অবৈধ দখলদার উদ্ধার হয়নি।
প্রায় দুই বছর পূর্বে সুরমা নদীর মুখ থেকে নদীটি খনন কাজ শুরু হলে ঠিকাদার স্থানীয় সুবিধাভোগীদের নিয়ে নদীর চরের ঘাস পরিষ্কার করে খনন কাজ শেষ করে চলে যায়। তখনও প্রতিবাদ করলে কতিপয় সিন্ডিকেটের কারণে ঠিকাদার নামমাত্র কাজ করে পালিয়ে যায়। নদী খননের পর বাসিয়া নদীটি ছোট্ট একটি নালায় বা খালে পরিণত হয়ে যায়। নদী খননের পর থেকে একটি মহল নদীটি ভরাটের জন্য দোকান, হোটেল রেস্তোরা, বাসা-বাড়ির যাবতীয় ময়লা আবর্জনা নদীতে ফেলে নদীটিকে ব্যক্তিগত ডাস্টবিনে পরিণত করেছে। আর নদীতে ফেলে রাখা পঁচা-ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে বিশ^নাথ নতুন ও পুরাতন বাজারে বসবাসকারি ও মসজিদের মুসল্লীসহ এলাকার লোকজন মুখে কাপড় চেঁপে ধরে চলাচল করতে হয়।
এদিকে বাসিয়া নদীর পানি একেবারে কমে যাওয়ায় কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। বাসিয়া নদীর আস-পাশ গ্রামগুলোর গভীর ও অগভীর নলকূপে পানি আসছে না। পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। কিছু কিছু নলকূপে পানি আসলেও পঁচা ময়লা পানি পাওয়া যায় এবং কোন কোন নলকূপে আর্সেনিক ধরা পড়ছে। এমতাবস্থায় এই অঞ্চলের জীবন জীবিকার নির্বাহে কৃষি উৎপাদনে বাসিয়া নদীটি পুনরায় খনন করা জরুরী হয়ে পড়েছে। তবে নদীটি খননের পূর্বে এসএ রেকর্ড মোতাবেক নদীর সীমানা চিহ্নিত করে নদীটি খনন করা না হলে শুধু মাত্র অর্থের অপচয় হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পাল বলেন, ময়লা -আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত একটি স্থান খোঁজা হচ্ছে, শিগগিরই ব্যবস্থা হয়ে যাবে। আর নদীতে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।