গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি আল্লামা আবদুর রব ইউসুফী বলেছেন, বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে যাঁরা আত্মোৎসর্গ করেছেন তাদেরকে আমরা মহান বিজয় দিবসে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। তাঁদের বিরত্বগাঁথা ইতিহাস কখনোই ভুলার মত নয়। কষ্টার্জিত এই স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক সকলকে যে কোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর জমিয়ত আয়োজিত ৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আল্লামা ইউসুফী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
সভায় আল্লামা আবদুর রব ইউসুফী আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে দেশকে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য সবার আগে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে জমিয়তের সহসভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেন, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সকল মানুষের আশা-আকাঙ্খা ছিল আমরা শান্তিতে বসবাস করব, আমাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকবে, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকবে, আমাদের দেশীয় সংস্কৃতি সংরক্ষিত থাকবে, আমাদের সবকিছুই নিরাপদ থাকবে। কিন্তু ৫০ বছর পার হতে চললেও মানুষের সেসব স্বপ্ন ও আশা এখনো পূরণ হয়নি।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের এত বছর পরেও এ দেশের মানুষ স্বাধীনতার যে স্বাদ, স্বাধীনতার যে সুফল সেটি এখনো এ দেশের মানুষ সেভাবে ভোগ করতে পারেনি।
মাওলানা আফেন্দী বলেন, স্বাধীনতা বলতে যদি হয় সীমান্তে বার বার আমার দেশের মানুষের লাশ পড়বে। স্বাধীন বাংলাদেশ পাওয়ার অর্থ যদি হয়, এ দেশের মানুষের জান-মালের কোন নিরাপত্তা থাকবে না, নারী ধর্ষিত হবে, এবং মানুষের অধিকার সংরক্ষিত থাকবে না, তাহলে স্পষ্ট বলতে চাই, যে উদ্দেশ্যে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন সে উদ্দেশ্য হচ্ছে, দেশের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করার জন্য। ঢাকা মহানগর জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজিপুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায আরো বক্তব্য রাখেন, দলের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হাসান, অর্থ-সম্পাদক মুফতি জাকির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী, মহানগর জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন, মুফতি বশীরুল হাসান খাদিমানী, মুফতি মাহবুবুল আলম, মুফতি সলীমুল্লাহ, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম ও যুব জমিয়ত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের সভাপতি মাওলানা সাইফুদ্দীন ইউসুফ ফাহীম। আলোচনা সভা শেষে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী (রহ.)এর মাগফিরাত ও দরজা বুলন্দির জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মঞ্জুরুল ইলাম আফেন্দী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।