পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার প্রশ্নে আপস নয় জানিয়ে সাম্প্রদায়িক বিষবৃক্ষ সমূলে উৎপাটন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল বুধবার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করছি, কিন্তু এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতার আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে একটি অশুভ ও সা¤প্রদায়িক শক্তি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, তারা কি চেয়েছিলো, তা জানতে। তাদের (ধর্মীয় সংগঠন) সঙ্গে বৈঠকটা করা হয়েছে, কারণ আমরা জানতে চাই, তারা কী চায়। আমাদের যে শপথ, আমাদের যে আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ, এ প্রশ্নে আমরা কোনো আপোষ করবো না। সেটাও আমরা তাদের জানিয়ে দিতে পারি। তা নাহলে বৈঠক কেন?
সেতুমন্ত্রী বলেন, এবার বিজয় দিবসের অঙ্গীকার হচ্ছে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এ সা¤প্রদায়িক শক্তিকে রুখবো। একদিকে ১৯৪৭ এর চেতনা, অন্যদিকে ’৭১ এর চেতনা, একদিকে সা¤প্রদায়িকতা, আরেক দিকে অসা¤প্রদায়িকতা, আজ আমাদের এ দু’টি ধারা চলছে। আমাদের আজকের শপথ হবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে সা¤প্রদায়িক অপশক্তি যে বিষবৃক্ষ, ডালপালা বিস্তার করেছে, সেই বিষবৃক্ষকে আমরা সমূলে উৎপাটন করবো। সেই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবো। এটাই হোক এবারকার বিজয় দিবসের শপথ।
এর আগে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে প্রথমে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আহমদ চৌধুরী। প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষ থেকে এবং তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর পরপরই জনসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার স্মৃতিসৌধের পরিস্থিতি ভিন্ন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা লোকজনকে ছোট ছোট দলে ভাগ করে ভেতরে ঢোকানো হচ্ছে। ভেতরে ঢোকার পর বেশিক্ষণ অবস্থান করতে দেয়া হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।