পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চরম অস্বাস্থ্যকর হয়ে গেছে ঢাকার বাতাস। ডিসেম্বরের শুরু থেকে বায়ূ দূষণের মাত্রা ১৫০ পিএম ছাড়িয়ে ঢাকার বাতাস খুবই অস্বাস্থ্যকর হয়ে গেছে। ঢাকা বিশ্বের শীর্ষ বায়ু দূষণের শহরে তালিকায় উঠে এসেছে। এমন দূষিত বাতাসে শিশু ও বৃদ্ধদের বাইরে যাওয়ায় সতর্কতা রয়েছে বিশ্ব বায়ু মান সংস্থার। এআইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী গতকালও ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ১৬৫ পিএম। যা ছিল বিশ্বের দূষিত শহরের শীর্ষে। ১৫৬ পিএম নিয়ে নিয়ে পাকিস্তান দ্বিতীয়, ১৫৪ পিএম নিয়ে মঙ্গোলিয়া তৃতীয়, ১৫৩ পিএম নিয়ে আফগাস্তিান চতুর্থ এবং ১৫২ পিএম নিয়ে ভারত বায়ু দূষণের ক্ষেত্রে ৫ম স্থানে রয়েছে।
শীত আসার অনেক আগে থেকেই রাজধানীতে ধুলা বেড়ে গেছে। মেট্রোরেল, রাস্তা-ঘাট চওড়াসহ নানা ধরনের নির্মাণ কাজে, উত্তরা, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, শাহাবাগ, প্রেসক্লাব, পল্টন ও মতিঝিলের অনেক এলাকা এখন ধুলাময়। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এসব এলাকার প্রধান সড়কে পানি ছিটানো হলেও তা খুব একটা কাজ করছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রয়োজনের তুলনায় পানি খুব অল্প ছিটানো হয়। এতে কিছুক্ষণ পর আবারও ধুলা উড়তে শুরু করে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল বলেন, ঢাকার বায়ু দূষণের মাত্রা দিন দিনই বাড়ছে। বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার বায়ুর মান অত্যন্ত খারাপ। অন্যান্য সময়ের তুলনায় রাজধানীতে ধুলাবালির পরিমাণও বেড়েছে। গতবছরের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ২০ ভাগ বায়ুদ‚ষণ বেড়েছে। গত বছরে ডিসেম্বরে বায়ুর মান ছিল ১৮৩, এই বছরে ডিসেম্বরে বায়ুর মান ২৩২ চলে গেছে। গত বছরের তুলনায় এই বছর বায়ুর মান ২০ ভাগের মতো বেড়েছে।
তিনি বলেন, এ বছরের ডিসেম্বরের ৬ তারিখে সবচেয়ে বেশি খারাপ ছিল ঢাকার বায়ু। এদিন বায়ুর মান ছিল ৩১০। এই বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ গত ৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বায়ু দ‚ষিত ছিল। মেগা প্রজেক্টগুলো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া চলছে নানান উন্নয়ন কর্মকান্ড এতে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থাকছে উপেক্ষিত। এ ছাড়া উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় ভবন নির্মাণের পরিমাণ একটু বেশি। এখানে কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্টে আমরা অনেক উদাসীনতা দেখি। মনিটরিংসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অত্যন্ত উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।