Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আসামে সকল সরকারি মাদরাসা বন্ধে বিল পাস

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ৮:৫৯ পিএম

ভারতের আসামে সরকার পরিচালিত সকল মাদরাসা ও সংস্কৃত স্কুল (টোল) বন্ধ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে দেশটির রাজ্য সরকার। আসাম সরকারের মুখপাত্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোওয়ারির বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি স্টার নয়াদিল্লি সংবাদদাতা এ খবর জানিয়েছেন।
মন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোওয়ারি বলেন, রাজ্যের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন বসছে ২৮ ডিসেম্বর থেকে। এই অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি বিল পেশ করা হবে। মাদ্রাসা ও সংস্কৃত স্কুল সম্পর্কিত বর্তমান আইন বাতিল করার বিষয় থাকবে এই বিলে। আসামের রাজধানী গৌহাটিতে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো জানান, মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোওয়ালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকার পরিচালিত সব মাদ্রাসা ও সংস্কৃত স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আসামের শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব সরমা অক্টোবরে জানিয়েছিলেন, রাজ্যে মোট ৬১০টি সরকার পরিচালিত মাদ্রাসা আছে এবং সরকার এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য বছরে ২০০ কোটি রুপি ব্যয় করে। এসব মাদ্রাসা উচ্চ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে এবং শিক্ষার্থীদের সেখানে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে নতুন করে ভর্তি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।
এছাড়া, সংস্কৃত স্কুলগুলোকে ভারতীয় সংস্কৃতি, সভ্যতা ও জাতীয়তাবাদ শিক্ষা ও গবেষণার কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর আসামজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এরইমধ্যে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করেছে। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসআইয়ের আসাম প্রদেশের সাবেক সভাপতি প্রদীপ রায় মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) বলেন, এ বিষয়টি তারা সাধারণভাবে নিচ্ছেন না। মাদ্রাসা বন্ধ করার পেছনে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তাদের ধারণা। সেই সঙ্গে রয়েছে ধর্মীয় সুরসুরিও। মাদ্রাসা বন্ধ করা হলে তা হবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিতে আঘাত। মাদ্রাসায় শুধু আরবি শিক্ষা দেওয়া হয় না। বিজ্ঞান ইংরেজি অংক ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়। তাই মাদ্রাসা বন্ধ করার কোন যুক্তি নেই।
ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন এবং সরকারকে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য করবেন বলেও জানান তিনি।
ভারতের আরেকটি বিরোধী রাজনৈতিক দল এআইইউডিএফের সভাপতি বদরুদ্দিন আজমলের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গেছে, তারাও আসাম সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ইতিমধ্যে ব্যাপক সমালোচনা এবং প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে। সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার, নয়াদিল্লি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ