পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘মহান বিজয় দিবস’ উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার সুখ-সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই।
গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনে মহান বিজয় দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যারা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অপরিসীম ত্যাগ স্বীকার করেছেন সেই সব বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সমগ্র জাতির অবদানের কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের যথাযথ প্রতিদানের জন্য দোয়া করছি। তিনি বলেন, জাতি এমন এক সময় ‘মহান বিজয় দিবস’ পালন করতে যাচ্ছে, যখন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব
চ্যালেঞ্জের মুখে। দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
একদিকে করোনা মহামারির কারণে মানুষ অত্যন্ত কষ্টকর জীবন-যাপন করছে, অপরদিকে স্বাধীনতার মূল অর্জন নাগরিক ও মানবিক অধিকার হারিয়ে দেশ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করেছে। দেশ ও জাতির অতন্ত্র প্রহরী ওলাময়ে কেরামকে একটি চিহ্নিত মহল দেশের স্বাধীনতা বিরোধী বলে উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে অপমান ও কটাক্ষ করছে।
স্বাধীনতার মূল অর্জন সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার হারিয়ে দেশবাসী আজ দিশেহারা। দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সঙ্কট থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হবে। তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যেন বিপন্ন হতে না পারে সে জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানান। তিনি জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষার আহবান জানান। সেই সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সকল শাখাকে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিলসহ নানাবিধ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর ‘মহান বিজয় দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।