পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে ‘সরকার না অন্য কোনো শক্তি দেশ পরিচালনা করছে- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, আজকে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আছে কিনা- এটা বলাও মুশকিল। যে স্বাধীনতার জন্য, যে গণতন্ত্রের জন্য মানুষ যুদ্ধ করেছিলো, সেই স্বাধীনতা-গণতন্ত্র আজ অর্থহীন হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, দেশের টার্গেট কিলিং হচ্ছে এগুলোর সাথে আওয়ামী লীগই জড়িত। হাসিনা সব জানে, কিন্তু জড়িতদের না ধরে বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে, নিরীহদের গ্রেফতার করছে- বলে অভিযোগ করেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, সারাদেশে ১২ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুনেছি, কারাগারগুলোতে মানুষের কোনো ঠাঁই হচ্ছে না। বাথরুমে পর্যন্ত জায়গা দিচ্ছে- এই অবস্থায় আজকে চলে গেছে। ক্রসফায়ারে ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।
রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এক ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এরকম প্রশ্ন তুলেন। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক মরহুম কাজী জাফর আহমেদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল হয়।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার অন্যায়ভাবে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। তারপরও বলতে হয়, আজকে সত্যিকারে এই অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকেও তারা নিজেরা কী দেশ শাসন করছে নাকি অন্য কোনো শক্তি কাজ করছে। সেটাও দেশের মানুষকে আজকে চিন্তা করতে হবে। একই সঙ্গে দেশে সংঘটিত ধারাবাহিক হত্যাকা-গুলোকে পরিকল্পিত অভিহিত করে এর পেছনে আওয়ামী লীগের লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
তিনি বলেন, এই টার্গেট কিলিংগুলো হচ্ছে- এগুলো ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এখানে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সমস্ত ধর্মের মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। এগুলো কারা করছে? এগুলো পরিকল্পিত এবং এগুলো আওয়ামী লীগের লোকজন করছে। তাই হাসিনা বলে, আমি জানি-এগুলো কারা করছে। হাসিনা জানে, হাসিনা জেনেও এদের ধরে না। ওদের দেশের বাইরে পার করে দিয়েছে। এখন নিরীহ মানুষকে ধরে জেলখানায় বন্দি করছে।
বিভিন্ন হত্যাকা-ের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন করছে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজনই প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে। আর নাম দিচ্ছে বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে। আমি বলতে চাই, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিএনপি এ সব হত্যায় বিশ্বাস করে না। বিএনপি এগুলোর সঙ্গে জড়িত নয়।
সাঁড়াশী অভিযানের সমালোচনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গ্রেফতারের নামে চলছে বিএনপি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে গ্রেফতার। এখন পর্যন্ত সারাদেশে ১২ হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুনেছি, কারাগারগুলোতে মানুষের কোনো ঠাঁই হচ্ছে না। বাথরুমে পর্যন্ত জায়গা দিচ্ছে- এই অবস্থায় আজকে চলে গেছে। ক্রসফায়ারে ৫০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই কি দেশ চালানো নমুনা?
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, একদিকে ব্যাংকগুলো ডাকাতি করে খালি করে দিচ্ছেন। আরেকদিকে মানুষ হত্যা করে দেশকে শেষ করে ফেলছেন। তাহলে দেশের মানুষরা যাবে কোথায়? দেশ যে পথে যাচ্ছে, এই পথে গেলে মানুষের সত্যিকারের সেই একদলীয় শাসন বাকশাল ও আওয়ামী লীগের অত্যাচার-জুলুম থেকে কেউ বাঁচতে পারবে না। তাই কোনো ধর্মের মানুষ আজ নিরাপদ নয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এখন বেশি অত্যাচারিত এবং তাদের সম্পত্তি দখল হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
২০ দলীয় জোটকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান রেখে জোট প্রধান ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, আল্লাহ’তালা মিথ্যাচার, অত্যাচার-এগুলো সহ্য করবেন না। অবশ্যই এর বিচার আল্লাহ করবেন। আমি বলব, দেখবেন, অচিরেই দেখবেন, আওয়ামী লীগের জনগণ কিভাবে বিতাড়িত করে এবং তাদের কী পরিণতি হয়। আসুন আমরা অস্ত্র নয়, আমরা সংঘাত নয়, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আগামী দিনে আমাদের কর্মসূচিগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করবো, পথ তৈরি করবো।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এটিএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়ে এক টেবিলে বসে ইফতার করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
এছাড়া ছিলেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) শফিউল আলম প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মুর্তাজা, ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির (এনপিপি) ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপের জেবেল রহমান গনি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুুল করীম খান, খেলাফত মজলিশের সৈয়দ মজিবুর রহমান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) শাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির এমএম আমিনুর রহমান, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জামায়াতে ইসলামীর শামীম সাঈদী।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, অধ্যাপক জসিমউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুুল কাদের, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এএমএম বাহাউদ্দীন, সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, রেজাউর রহমান সোহাগ প্রমুখও ইফতারে ছিলেন।
এছাড়া বিএনপির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল্লাহ আল নোমান, এডভোকেট আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমী, ব্যারিস্টার তৈমুর আলম খন্দকার, নুরী আরা সাফা, আতাউর রহমান ঢালী, শায়রুল কবির, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিংকন, আনোয়ারা বেগম, নওয়াব আলী আব্বাস খান, কাজী জাফরুল্লাহ খান, খালেকুজ্জামান চৌধুরী, রফিকুল হক হাফিজ, আলহাজ মোহাম্মদ সেলিম মাস্টার, রমিজ উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ নওশের আলী, মোহাম্মদ শরিফ মিয়া, কাজী মোহাম্মদ ইকবাল, এ এস এম শামীম, মোহাম্মদ মহসীন সরকার, মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটন, মামুন উল হাসিব ভূঁইয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।