বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নয় বছরের এক শিশু মাদরাসাছাত্রী ফাতেমা আক্তার মিমকে গণধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আটজনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার গতকাল সোমবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আট আসামির প্রত্যেককে ফাঁসির দন্ডের পাশাপাশি এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা শিশুর মাকে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মইনুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, হাসিবুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান, মো. সুজন, মো. মেহেরাজ ও শাহাদাত হোসেন। তাদের মধ্যে শাহাদাত হোসেন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। কারাগারে থাকা বাকি সাতজনকে রায়ের সময় আদালতে হাজির করা হয়।
মিম নগরীর আকবরশাহ এলাকার ফাতেমাতুজ জোহরা হেফজুল কোরআন মহিলা মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবা মো. জামাল উদ্দিন ওয়াশিং মেশিনে কাজ করেন। তাদের বাসা আকবরশাহ এলাকার কনকর্ড সী-ওয়ার্ল্ড’র রাজা কাশেমের কলোনিতে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম এ নাসের জানান, ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে আকবরশাহ থানাধীন বিশ্ব কলোনি এলাকায় শিশু মিমকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় তার মা এই মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি বিশ্বকলোনি এলাকায় একটি মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় মেয়েটি। পরে খুঁজতে খুঁজতে রাতের বেলা ওই মাঠের পাশের একটি বাড়িতে শিশুটির লাশ পান তার মা। পরদিন আকবরশাহ থানায় আটজনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরের বছর ২৬ মে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে আদালত তাদের বিচার শুরু করেন। গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে ছয়জন অপরাধ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন। এ মামলার বিচারে মোট ১৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আট আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিলেন আদালত। শিশু মিমের মা বিবি রাবেয়া বেগম রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, উচ্চ আদালত যেন এ রায় বহাল রাখেন। আর যাতে কোন শিশুর উপর এমন পাশবিক নির্যাতন না হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।