পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একুশ বছর আগে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে হত্যার দায়ে সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ২০ জনের মধ্যে একজন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হক রোববার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
খুনের শিকার আমজাদ হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। খুনিরাও একই রাজনৈতিক দলের সদস্য। আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদাত প্রাঙ্গণে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের সেøাগান পাল্টা সেøাগানে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
রায়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আমজাদ হোসেনের স্বজনেরা। তার ভাতিজা আইনজীবী আবদুল আলম বলেন, আসামিরা নানাভাবে বিচার বিলম্বিত করেছে। তারপরও বিচার পেয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমার চাচা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। তিনি দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায়, ডাকাত ধরিয়ে দেওয়ায় এবং ডাকাতরা পুলিশের কাছে আসামিদের নাম বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার চাচাকে হত্যা করে।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নেজাম উদ্দিন, জাহেদ, আবু মো. রাশেদ, মানিক, জিল্লুর রহমান, মো. রফিক, ফারুক আহমেদ, জসিম উদ্দিন, বশির আহমদ ও তারেক। তাদের মধ্যে শেষ দুজন পলাতক। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন-মো. ইদ্রিস, হারুন, মো. আইয়ুব, মোরশেদ আলম এবং ইদ্রিস আলী। তাদের মধ্যে শেষ তিনজন পলাতক। খালাস পাওয়া চারজন হলেন- তাহের, শায়ের, মোস্তাক আহমেদ ও আবদুল মালেক। লুৎফুর রহমান চৌধুরী মারা গেলে মামলা থেকে তার নাম বাদ পড়ে।
১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর রাতে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবারে ওরস চলাকালে সোনাকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে (৪৫) গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার স্ত্রী সৈয়দা রওশন আকতার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত নেজাম উদ্দিন ঘটনার সময় বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন বলে আমজাদের পরিবারের দাবি। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি বশির আহমদও সাতকানিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর সিআইডি ২০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আদালত আসামিদের বিচার শুরু করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।