পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন যৌক্তিক নয় বলে জানিয়েছে সাদা দল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এবং সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতির গুরুত্ব ও ভয়াবহতা বিবেচনা করে এই নির্বাচন আয়োজন থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা। এই দাবিতে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নির্বাচন পরিচালকের কাছে লিখিত চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি কার্যকর পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। করোনার এই সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান যৌক্তিক নয় বলে সাদা দল বিরত থাকার অনুরোধ জানায়। কিন্তু এ অনুরোধ সত্তে¡ও নির্বাচনের তফসিল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সাদা দল ভার্চুয়াল আলোচনা সভা করে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ইতোমধ্যে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আঘাত হেনেছে। প্রতিদিন মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারেও এখন আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মরত সহকর্মীসহ কয়েকজন সাবেক সহকর্মী ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে এবার সরকারও নানা রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সামাজিক ও ব্যক্তিগত সংস্রব এড়িয়ে চলার উপর জোর দেয়া হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসলে যে লোক সমাগম হবে, তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। বিশেষ করে সিনিয়র এবং নানাবিদ অসুস্থতায় আক্রান্ত সহকর্মীদের জন্য এটি মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। ঝুঁকি এড়ানোর জন্য অনেক শিক্ষক হয়তো ভোট প্রদান করতেই আসবেন না। এটি হলে প্রতিনিধি নির্বাচনের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হবে।
এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়, তাই ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সমিতির নির্বাচন আয়োজন উচিৎ নয়।
নির্বাচন হলে বিরূপ ধারণা জন্মাবে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, গত মার্চ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক একাডেমিক কাজ বন্ধ আছে। অনলাইনে ক্লাস চালু করা হলেও সেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা নানা সংকট ও সমস্যার কারণে পূর্ণমাত্রায় যুক্ত হতে পারছে না। তাদের পরীক্ষাসমূহ নেয়া যাচ্ছে না। শিক্ষকগণও তাঁদের গবেষণাসহ স্বাভাবিক একাডেমিক কাজ পরিচালনা করতে পারছেন না। এমতাবস্থায় এই নির্বাচন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ ধারণার জন্ম দিবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য বিধিবদ্ধ বডি যেমন- সিনেটে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি, সিন্ডিকেট, একাডেমিক কাউন্সিল, ফাইনান্স কমিটি এবং অনুষদসমূহের ডিনদের মেয়াদকাল অনেক আগেই অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে এসব নির্বাচন আয়োজনে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সেখানে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির মারাত্মক ঝুঁকি থাকা সত্তে¡ও শিক্ষক সমিতির এ নির্বাচন আয়োজন কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। এছাড়া দীর্ঘ ২৮ বছর পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ডাকসুর মেয়াদকাল শেষ হওয়ায় ইতোমধ্যে তা বাতিল করা হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে সে নির্বাচনও আয়োজন করা যাচ্ছে না। কোভিড-১৯ সংক্রমণের এ পর্যায়ে কোনোভাবেই শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের নির্বাচন করা সঙ্গত হবে না এবং কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে সাদা দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।