মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাপানের তাইহি কোবায়শি টোকিওর রাস্তা থেকে স্টার্টআপ করে এখন তিনি ১ বিলিয়ন ডলারের মালিক। জাপানের ছোট্ট ক্যাপের স্টক বুম থেকে ভাগ্যক্রমে তাইহির ধনী হওয়ার গল্পটা সত্যিই অবাক হওয়ার মতো। কোবায়শির সংস্থা, স্টার্টআপ ও অন্যান্য সংস্থাগুলোকে নতুন ব্যবসা ও পণ্য তৈরি করার ডিজাইন বানিয়ে দেয়। চলতি বছরের জুলাইতে সকলের সামনে আসে এই সংস্থা। এরই মধ্যে তার শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় তিন গুণ। কয়েক বছর আগেও এমন জীবনটার কথা ভাবতে পারতেন না কোবায়শি। ব্যবসা শুরু করবেন বলে ভাল স্কুলে পড়ার সুযোগ ছেড়ে দেন তিনি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাবা-মা বাড়ি থেকে বের করে দেয় তাকে। -ফোর্বস
তাইহির মাথা গোঁজার কোনও ঠাঁই ছিল না তার পরের দেড় বছর । রাস্তাতে থাকতেন, দিনের বেলাতে গান করতেন আর শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে পিচবোর্ডের বাক্স ব্যবহার করতেন। জীবনের ঘাত প্রতিঘাত তাকে রাস্তাতে নামিয়ে আনে। শেষপর্যন্ত তিনি একটা চাকরি পান সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। তিনি ২০১২ সালে ভিয়েতনামের সান অ্যাসিস্ট্রিকে প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। ৩৭ বছরের তাইহি জানান যে, শীতের প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও আমি রাস্তাতে রাত কাটিয়েছি। নরকের থেকে কঠিন সেই সময়। আজ সেসব অতিক্রম করে আসতে পেরেছি। আমার স্কুল ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত আমার বাবা মা মেনে নিতে পারেন নি। তারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন আগে থেকে। আমার এই সিদ্ধান্ত তারা মেনে নিতে পারেন নি। তাদের কাছে আজও আমি সাকসেসফুল নই।
যুবা ফুকাগওয়া নামে কোবায়শির স্কুলের বন্ধু বর্তমানে সান-এ কাজ করছেন। তিনি বলেন, আমি জীবন নিয়ে এর থেকে খুব বেশি ভাবি না। তবে আমার বাবা মাকে একটু চিন্তিত মনে হয়েছিল শুরুর দিকে। ছ’ঘণ্টার অঙ্ক, লজিক, আইকিউ পরীক্ষা দেয় কোবায়শি। কোবায়শি পরীক্ষাতে পাশ করে সফটওয়্যার ইঞ্জিয়ার হন। সানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাকোটো হিরোইয়ের সঙ্গে দেখা হয় তাইহের। দুজনে মিলে একটি সংস্থা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। যারা প্রোগ্রামিংয়ে পারদর্শী তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে একটি কার্যনির্বাহী মডেল তৈরি করেন কোবায়শি ও মাকোটো। বাজারে সানের এখন ক্লায়েন্ট ৭০টিরও বেশি। জুলাই মাসে স্টার্টআপ সংস্থাগুলোর জন্য টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জের একটি তালিকা তৈরি হয়, সেখানে নথিভুক্ত করা হয় তাদের তৈরি সংস্থাকে। এর শেয়ারগুলো সেপ্টেম্বরে প্রায় ছয়গুণ বেড়েছে আর এর বাজারমূল্য ১.৪ বিলিয়ন ডলারেরও ওপরে। কোবায়শি বলেন, সান প্রতিবছর কমপক্ষে ২০% – ৩০% উপার্জন বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করছে। টোকিও র অফিসে বর্তমানে ১৩০ জন কর্মচারী কাজ করছেন। আর ভিয়েতনামের মূল অফিসে কাজ করছেন ১৩০০ বেশি কর্মচারী । তাইহি জীবনে ঝুঁকি নিয়েছেন। চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন আর সফল হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।