মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি বৈশ্বিক সংহতি ও বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে এবং এটিকে মৌলিক পরিবর্তনের সুযোগে পরিণত করতে হবে।’ নোবেল শান্তি পুরস্কার ফোরামে গতকাল শুক্রবার এ কথা বলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
জাতিসংঘ প্রধান বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংকট মানব সংহতির প্রয়োজনীয়তা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে এবং এই হুমকি আমরা সবাই মিলেই সমাধান করতে পারি।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ ক্ষুধার্ত মানুষের জীবন রক্ষার কাজের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পরদিনই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নোবেল আলোচনায় মহামারির পরে বহুপক্ষীয়তা এবং বিশ্ব পরিচালনার উপর আলোকপাত করা হয়, যা পৃথিবীর প্রায় সব দেশকেই প্রভাবিত করেছে।
ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামাজিক এ পরিণতির কারণে বিশ্ব বিগত ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মন্দার মুখোমুখি এবং দারিদ্র্যের মাত্রা চরমে পৌঁছেছে। চলমান পরিস্থিতিতে ‘রিসেট’ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাইলেই আগের জায়গায় ফিরে গিয়ে এই সংকট মোকাবিলা করতে পারব না। আমাদের আরও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরকার।
করোনার ভ্যাকসিনের বিষয়ে গুতেরেস বলেন, দেশগুলো একটি সাধারণ শত্রুর মুখোমুখি হলেও, এটি মোকাবিলার ক্ষেত্রে তারা কোনো যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রেও আমরা একই ঘটনা ঘটতে দিতে পারি না, এটিকে অবশ্যই জনসাধারণের পণ্য হিসেবে গণ্য করতে হবে।
করোনাভাইরাসকে মহামারি ঘোষণার পরপরই বিশ্বব্যাপী যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব। যুদ্ধ নয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমার এই আহ্বান যে সমর্থন পেয়েছে এবং সারা বিশ্বের ঘরে ঘরে শান্তির জন্য এবং নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা অবসানে আমার আহ্বানের প্রতি সরকারগুলোর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আমি উৎসাহিত হয়েছি।
জলবায়ু সংক্রান্ত জরুরি অবস্থার কথা তুলে ধরে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘প্রকৃতির বিরুদ্ধে মানবতার আত্মঘাতী যুদ্ধ’ সম্পর্কে কথা বলেন। তবে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে মানুষের ক্রমবর্ধমান জোট আশার আলো হয়ে দেখা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
গুতেরেস বলেন, প্রতিটি দেশ, শহর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।
অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৈষম্যহীন সুন্দর বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টায়, বৈশ্বিক শক্তি সম্পর্কের ভিত্তিতে দেশগুলোকে সকল বৈষম্যের সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।