পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী অঞ্চলের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে কৃষি অর্থনীতি। জীবন বাজি রেখে কৃষক জমিতে আবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। লাভ লোকসান যাই হোক। কৃষিকাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা বেশ ভাল আছেন। জোতদাররা ধান আলু পেয়াজসহ শাকসবজি, ফলের আবাদ নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। তবে তুলনামূলক খুব একটা ভাল নেই প্রান্তিক চাষি আর মধ্যবিত্তরা। নিম্নবিত্তরা রয়েছেন ফুরফুরে মেজাজে। প্রতিদিন কৃষি শ্রমিকদের মজুরি কমপক্ষে ৬শ’ টাকা। গায়ে গতরে খেটে দিন এনে দিন খাওয়া নির্মাণ শ্রমিক, অটো চালক, রিকশাচালকরাও আছেন ভালো। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষদের কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হওয়ায় বেশ কষ্টে রয়েছেন। তারা কষ্ট না পারছেন সইতে আবার তাদের কষ্টের কথা না কারো কাছে বলতে। তবে সামগ্রিকভাবে শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ বেশ ভালো আছেন। নব উদ্যোমে রাজশাহীর শ্রমজীবীরা মাঠে নেমেছেন।
রাজশাহী অঞ্চলে কৃষি ও শিল্প সেক্টরে বহুমুখী কাজ এখন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনূরার কমলা মাল্টা বাগানের মালিক মতিউর বলেন, আমার বাগানে প্রচুর শ্রমিক কাজ করছে। এতে তাদের স্বচ্ছলতা আসছে। এলাকায় দেখাদেখি অনেকেই নতুন নতুন বাগান গড়ে তুলছে। সেখানেও প্রচুর শ্রমিকের কাজ হচ্ছে। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর গৌগ্রামের কৃষি শ্রমিক টুলটুল বলেন, কৃষি শ্রমিকের কাজ করে অভাব মোচন হয়েছে। এই দুঃসময়ে ভালো আছি। তানোরের জোতদার ইসহাক আলী বলেন, করোনা মহামারী কলেও কৃষিকাজ মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
কৃষক, মাছের খামারি, মুরগি ও ডিমের খামারিদের চেয়ে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা ভালো আছেন। সাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছেন। রাজশাহী মৎস্য ক্ষেত্রে বেশ এগিয়েছে। মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে। জেলায় বর্তমানে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে কয়েক হাজার পুকুরে প্রতি বছর ৮৪ হাজার মে. টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। আর মৎস্যজীবীদের মাঝে নতুন করে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে প্রায় সোয়ালাখ বেকার যুবকের। এ অঞ্চলে বিকাশমান পোল্ট্রি খাত। খামার মুরগি ও ডিম সরবরাহ করছে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আশেপাশের জেলায়। সেখানে হানা দিয়েছে করোনার বিরুপ প্রভাব।
নগরীর মেসে মেসে রান্নাবান্নার কাজ করা বুয়া আর ফুটফরমাস খাটা টোকাইরাও বেশ ভালো আছেন। নগরীর আনাচে কানাচে আর বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় আশেপাশে গড়ে ওঠা ছোট বড় ফাস্টফুডের দোকান বেশ জমজমাট। নদী তীরের ভ্রাম্যমাণ ফাস্টফুড, কালাই রুটি, ভাপাপিঠা, বারোভাজা, আমড়া, পেয়ারা বিক্রেতারাও শীত মৌসুমে ভালো ব্যবসা করছেন।
কাল পড়ুন : নোয়াখালীতে চাঙ্গা শ্রমবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।