পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে গতকাল বিকেল পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে মতিঝিল থেকে জীবন হোসেন (২১) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত জীবন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তর কাগজীপাড়া গ্রামের মৃত আমির হোসেনের ছেলে।
মতিঝিল থানার এসআই সুজন কুমার জানান, মতিঝিল সিটি সেন্টারের সামনের রাস্তায় এক যুবকের লাশ পড়ে আছে এমন খবরে গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে যায় পুলিশ। পরে সেখান থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় পাওয়া যায়।
এছাড়া গতকাল উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের একটি বাসার ছাদ থেকে পড়ে ইয়াসমিন আক্তার (১৪) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হযেছে। বিমানবন্দর থানার এসআই শফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরার এক নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় চার বছর ধরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো ইয়াসমিন আক্তার। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। ওই বাসার গৃহকর্তা ডা. ইকবাল জানান, বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে বাসার ছাদ থেকে কাপড় বেঁধে নিচে নামার চেষ্টা করছিল ইয়াসমিন। তখন নিচে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। তবে পুলিশ বলছে, গৃহকর্মী ইয়াসমিন বাসা থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এদিকে, বাড্ডায় সাথী (১৮) ও বংশালে তন্নী (১৫) দুই কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বংশালে মৃত্যু হওয়া তন্নীর বড় ভাই মো. তামজিদ হোসেন জানান, তারা বংশাল নাজিরাবাজার ৫৩ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। তন্নীর বাবার নাম আবুল হোসেন। স্থানীয় স্কুলে লেখাপড়া করে তন্নী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় তন্নী। পরে দেখতে পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় ফাঁস দেওয়ার কারণ জানাতে পারেনি স্বজনরা।
এদিকে বাড্ডায় মৃত্যু হওয়া সাথীর মা বিউটি বাড়ই জানান, তারা বাড্ডা আলী মোর এলাকাতে একটি বাসায় ভাড়া থাকে। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ কোটালি পাড়া উপজেলার পশ্চিম দেবগ্রামে। সাথীর বাবার নাম রণজিৎ বাড়ই।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, লাশগুলো ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।