পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে আশ্রিত এক রোহিঙ্গা দম্পতির ঘরে এলো তৃতীয় সন্তান। গতকাল শুক্রবার সকালে ভাসানচরে আশ্রয় নেয়ার আট দিনের মাথায় মো. কাশেম ও রাবেয়া খাতুনের ঘরে জন্ম নিলো রোহিঙ্গা শিশুটি। এটি ভাসানচরে প্রথম কোনও রোহিঙ্গা শিশু জন্ম। এর আগে ওই রোহিঙ্গা দম্পতি কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন। তারা স্বেচ্ছায় গত ৪ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম দলের সঙ্গে ভাসানচরে নতুন ঠিকানায় পা রাখেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে ভাসানচর প্রকল্পের (আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩) উপ-প্রকল্পের পরিচালক কমান্ডার এম আনোয়ারুল কবির জানান, শুক্রবার ভোরে ভাসানচরে আশ্রিত এক রোহিঙ্গা দম্পতির ঘরে শিশু সন্তান জন্ম নেয়। বর্তমানে মা-ছেলে দুজনই সুস্থ আছেন। তাদের ঘরে এটি তৃতীয় সন্তান।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলা, নিপীড়ন ও হত্যার কারণে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় সাড়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এছাড়াও এর আগে এসে আশ্রয় নিয়েছিল বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। বর্তমানে তাদের সংখ্যা কমপক্ষে ১১ লাখ। এ পরিস্থিতির মধ্যেই রোহিঙ্গাদের উখিয়া ও টেকনাফের ঘিঞ্জি ক্যাম্পগুলো থেকে সরিয়ে আরও নিরাপদে রাখতে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভাসানচরে নিজস্ব অর্থায়নে বিপুল ব্যয়ে আশ্রয় ক্যাম্প নির্মাণ করে সেখানে পাঠানোর উদ্যোগ নেয় সরকার।
সর্বশেষ, গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ ভাসানচরে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা হাসি মুখে অবশেষে পা রাখেন। এর আগে ভাসানচরে যেতে আগ্রহী এসব রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে গত বৃহস্পতিবার গাড়িতে এনে চট্টগ্রামে শাহিন স্কুলের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।