Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জর্জিয়া উপকূলে ভাসছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আইসবার্গ, ঘটতে পারে ভয়াবহ বিপর্যয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৯:৩৪ পিএম

সাউথ জর্জিয়ার দ্বীপের ২০০ কিলোমিটার দূরে ভাসছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আইসবার্গটি। যে কোনো সময়ে এর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটতে পারে দ্বীপটির। প্রায় ৩১ মাইল লম্বা আইসবার্গটির সঙ্গে দ্বীপটির সংঘর্ষ ঘটলে ঘটবে এক ভয়াবহ বিপর্যয়। মহাসাগরীয় স্রোত যদি আইসবার্গটিকে আরো উত্তরে নিয়ে যায়, তাহলে এ সংঘর্ষ অনিবার্য। আর এর প্রত্যক্ষ ফল হবে অসংখ্য পেঙ্গুইনের মৃত্যু। কারণ দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি হচ্ছে অসংখ্য পেঙ্গুইন, সিলসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর চারণভূমি। খবর এনটিভির।
ব্রিটিশ বিমানবাহিনীর ক্যামেরায় এটি ধরা পড়েছে। দক্ষিণ আটলান্টিকে এই ছবিটি তোলা হয়েছে একটি এ ৪০০ এম উড়োজাহাজ থেকে। ছবিতে বরফখণ্ডটিতে বহু ফাটল দেখা গেছে। এটির নাম এ৬৮এ। এর গা থেকে খসে পড়ছে ছোট ছোট টুকরো। এর আয়তন ৪ হাজার ২০০ বর্গকিলোমিটার।
৬৫০ ফুট পুরু আর পানির ওপর মাত্র ১০ ভাগের ১ ভাগ দৃশ্যমান এই আইসবার্গ আয়তনে রোডস দ্বীপের চেয়েও বড়। ২০১৭ সালে এটি অ্যান্টার্কটিক আইস শেলফ থেকে পৃথক হয়ে যায়। তারপর ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছেছে বর্তমান অবস্থানে।
ব্রিটেনের বার্মিংহ্যাম ইয়ং ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর রিমোট সেন্সিংয়ের পরিচালক ডেভিড লং নজর রাখছেন আইসবার্গটির ওপর। তার বর্ণনানুসারে, আইসবার্গটির প্রতিটি প্রান্ত তীক্ষ্মভাবে খাড়া। তিনি বলেন, এটা যদি কোনোভাবে দ্বীপটিকে আঘাত হানে, তাহলে এর পরিমাণ ভয়াবহ হবে। পুরো দ্বীপের অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। কারণ দ্বীপ ও আইসবার্গ দুটোই প্রায় সমান আকৃতির। সংঘর্ষের ফলে সিল, পেঙ্গুইন, সি-বার্ড ও নীল তিমিসহ অসংখ্য প্রাণীর প্রাণহানি হবে। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ