Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

আগামী ১৪ ডিসেম্বর পূর্ণ সূর্য গ্রহণ : খালি চোখে তাকাবেন না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:১৩ পিএম

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে বহু মানুষ এধরনের মহাজাগতিক সৌন্দর্য দেখতে দৌড়াতো দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলের দক্ষিণে প্যাটাগোনিয়ায় আর আর্জেন্টিনায়। কিন্তু এখন ২০২০ হল মহামারির বছর। জ্যোতির্বিজ্ঞান ভক্ত হিসেবে অনলাইনে তথ্য পেয়ে আপনার যদি আকাশে এই গ্রহণ দেখার সৌভাগ্য হয়, মনে রাখবেন সূর্যের দিকে কখনই সরাসরি তাকানো ঠিক হবে না, চোখকে রক্ষা করার জন্য সানগ্লাস বা কিছু ব্যবহার করবেন। যে ২৪ মিনিট ধরে এই জাদুকরি মুহূর্ত স্থায়ী হবে, তখন অমাবস্যার চাঁদ তার চলার পথে সূর্যের সামনে এসে পৌঁছবে এবং ১৪ ডিসেম্বর চাঁদ সূর্যকে সম্পূর্ণভাবে ঢেকে দেবে `মাত্র দুই মিনিট ৯.৬ সেকেন্ডের জন্য,' বলছেন গ্রেনিচ রয়াল অবজারভেটরির আরেক জ্যোতির্বজ্ঞানী তানিয়া ডি সালেস মার্কুইস। -বিবিসি

‘চাঁদ আকারে সূর্যের চেয়ে ৪০০ গুণ ছোট,’ ব্যাখ্যা করেছেন তানিয়া, কিন্তু চাঁদ সূর্যের তুলনায় আমাদের অনেক কাছে বলে চাঁদকে অনেক বড় দেখায়, আর সূর্যকে আমরা বহু দূর থেকে অনেক ছোট দেখি। তাই আমাদের চোখের জন্য “চাঁদ সূর্যের গোলককে পুরো ঢেকে দিতে সক্ষম।’ এভাবে চাঁদ সূর্যের সামনে একই জায়গায় যখন আসে তখন দিনের আকাশে অন্ধকার নেমে আসে। বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকার সর্ব দক্ষিণে একেবারে মাঝ দুপুরের আকাশ পুরো অন্ধকারে ঢেকে যায়। সূর্যের পূর্ণ গ্রহণের সময় কখনই খালি চোখে সূর্যের দিকে তাকাবেন না দক্ষিণ আমেরিকায় প্যাটাগোনিয়া অঞ্চলের মাচুপিচু আদি বাসিন্দাদের জীবনধারা ও সংস্কৃতিতে গ্রহণ বা মহাজগতের বিভিন্ন প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ‘সূর্য হল ‘পুরুষ শক্তি’র উৎস, আর চাঁদ ‘নারী শক্তি’র। এই দুই শক্তির পথ পরিক্রমায় তারা যখন পরস্পরকে অতিক্রম করে, তখন আমাদের জন্য সেটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটা মুহূর্ত,’ বলেছেন মাচুপিচু সংস্কৃতি বিষয়ক শিক্ষক মার্চেলো হিউকুয়েনম্যান।

মার্চেলো বলছেন, সূর্য গ্রহণ মাচুপিচু আদিবাসী সংস্কৃতিতে একটা অপয়া ঘটনা। তাদের ভাষায় এটা ‘সূর্যের মৃত্যু’। জ্যোতির্বিজ্ঞানী তানিয়া বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে সূর্য গ্রহণের রেকর্ড আছে প্রায় ৫০০০ বছর ধরে। তবে বহু দেশের ইতিহাসে সূর্য গ্রহণকে একটা অশুভ লক্ষ্মণ হিসাবে দেখার সংস্কৃতি বহু পুরনো। কারণ, অনেকের বিশ্বাস একটা অল্প সময়ের জন্য সূর্যকে গ্রাস করে নেয়া হয়, তাকে খেয়ে ফেলা হয়, দিনের আকাশে সেই স্বল্প সময়ের জন্য আঁধার নেমে আসে। তিনি আরও বলেন, কোনো এক বছরে পাঁচবার পর্যন্ত সূর্য গ্রহণ হতে পারে। কিন্তু সূর্যের পূর্ণ গ্রহণ হয় প্রতি ১৮ মাসে মাত্র একবার। সেই সময় চাঁদ সূর্যের আলো সম্পূর্ণ ঢেকে দেবার মত অবস্থানে পৌঁছায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী পরবর্তী পূর্ণ সূর্য গ্রহণের সময়কাল ও দেখা যাবে যেখানে সেই স্থানগুলো হল- কুমেরু অঞ্চল – ডিসেম্বর ২০২১, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া (এপ্রিল ২০২৩), আমেরিকা এবং কানাডা (এপ্রিলি ২০২৪), দক্ষিণ ইউরোপ এবং গ্রিনল্যান্ড (অগাস্ট ২০২৬), উত্তর আফ্রিকার ব্যাপক এলাকা এবং মধ্য এশিয়া (অগাস্ট ২০২৭)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ