Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কার্বণ নিঃসরণ কমিয়ে, প্রাণবন্ত শহর গড়তে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ৫:৪৯ পিএম

যান্ত্রিক যানবাহন ও শিল্প কারখানার অতিমাত্রায় কার্বন নি:সরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে অসংখ্য মানুষ বাস্তুহারা হচ্ছে। পরিবেশের এ বিপর্যয়ে মানুষ বাধ্য হয়ে জলবায়ু শরণার্থী হয়ে শহরগুলোতে ভিড় করছে। স্বল্পসংখ্যক মানুষের ভোগবিলাসী জীবনযাপন পুরো পৃথিবীকে ঝুঁকিতে ফেলছে। সারা বিশে^ কোটি কোটি মানুষ বাস্তুহীন ও কর্মহীন হচ্ছে। যা মানবাধিকার পরিপন্থী। বৃহষ্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর রায়েরবাজার কমিউনিটি সেন্টারে ‘মানবাধিকার এবং জলবায়ু বিপর্যয় নিরসনে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এ মত ব্যক্ত করেন।

 

স্টপ এমিশনস্ নাও-বাংলাদেশ, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট’র উদ্যোগে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র পরিচালক গাউস পিয়ারী’র সভাপতিত্বে সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং এর পরিচালক দেবরা ইফরইমসন এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা কাউন্সিলর রোকসানা আলম, কচিকন্ঠ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এইচ এম নুরুল ইসলাম, রায়েরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহাজ্জুদ হোসেন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন স্টপ এমিশনস্ নাও-বাংলাদেশ’র সদস্য সচিব মনজুর হাসান দিলু।

শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন বলেন, জলবায়ু বিপর্যয়ের ক্ষতিকর প্রভাব রোধে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে একযোগে কাজ করতে হবে। শহরকে প্রাণবন্ত করতে পরিবেশবান্ধব উপায়ে উন্নয়ন করতে হবে। উপকূলের মানুষ দ্রুত বাস্তুহারা ও কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এটা চলমান থাকলে শহরে জলবায়ু জনিত শরর্নাথীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

 

গাউস পিয়ারী বলেন, পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখতে কার্বণ নিঃসরণ কমানো ছাড়া আমাদের কাছে বিকল্প কিছু নেই। ২০ বছরে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাবে মারা গেছে ৫ লাখ ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। বাংলাদেশ নাতিশীতোষ্ণ তাপমাত্রার দেশ হিসেবে পরিচিত হলেও কয়েক বছরে তাপমাত্রার অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যার ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সামাজিক, প্রাকৃতিক পরিবেশের বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমাদের ঐক্যবন্ধভাবে উন্নত বিশ^কে চাপ দিতে হবে কার্বণ নিঃসরণ কমাতে।

 

সভায় প্যারিস জলবায়ু চুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরীকৃত পেপার পাঠ করেন ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ এম এ মান্নান মনির। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ৩৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবীংই বাংলাদেশ এর কর্মকতা ইসাবেলা দালবত, বাংলাদেশ ইয়ুথ ক্লাইমেট নেটওয়ার্ক এর কর্মকর্তা শান্তুনু বিশ্বাস প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কার্বণ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ