বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের দেড় লাখ প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষককে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। বিভাগে ৪ জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তা এবং রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কৃষি অফিস জানায়, প্রথম দফায় প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সিলেট অঞ্চলে ৩০ হাজার ৪০০ কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ ঘোষিত প্রণোদনা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সার ও এ বীজ সহায়তা দেওয়া হবে। কয়েক দফা বন্যায় এবার আমন ধানসহ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিভিন্ন ফসল। করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র কৃষকরা। তাই আসন্ন রবি মৌসুমে বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় এবং কৃষকরা নিরবচ্ছিন্নভাবে চাষাবাদ চালিয়ে যেতে পারেন এজন্য কৃষি বিভাগ প্রণোদনা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে শুরু করেছে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের কার্যক্রম। চার জেলায় ২ কোটি ৮৮ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সার ও বীজ সহায়তা পাবেন কৃষকরা। পৃথক কর্মসূচিতে এক লাখ ২০ হাজার কৃষককে দেয়া হচ্ছে দুই কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ সহায়তা।
প্রথম দফার সার ও বীজ সহায়তার মধ্যে সিলেট বিভাগের মধ্যে সিলেট জেলায় প্রণোদনা পাচ্ছেন ৬ হাজার ৭০০, মৌলভীবাজারে ৫ হাজার ৭০০, হবিগঞ্জে ৯০০ এবং সুনামগঞ্জ জেলায় পাবেন ১০ হাজার ১০০ জন কৃষক। আঞ্চলিক কৃষি অফিস সূত্র জানায়, রবি মৌসুমে বোরো উৎপাদনের জন্য ১৫ হাজার ৭০০ কৃষক পাচ্ছেন প্রণোদনা। প্রত্যেকে এক বিঘা জমি চাষাবাদের বীজ পাচ্ছেন সমপরিমাণ। ৭’শ কৃষক পাচ্ছেন ২০ কেজি করে গমের বীজ। ভুট্টা বীজ পাচ্ছেন ২ হাজার কৃষক। প্রত্যেকের জন্য ভুট্টার বীজ দেওয়া হচ্ছে ৩ কেজি হারে। এছাড়াও ১ কেজি করে সরিষা বীজ পাচ্ছেন ৪ হাজার কৃষক। চার হাজার কৃষক পাচ্ছেন ১ কেজি করে সরিষা বীজ। ১ কেজি করে ৭ হাজার কৃষক পাচ্ছেন সূর্যমুখীর বীজ। ১০ কেজি করে চিনাবাদাম পাচ্ছেন ৬০০ কৃষক। গ্রীষ্মকালীন মুগডাল ৫ কেজি করে ১০০ কৃষককে পরবর্তীতে বীজ সহায়তা দেওয়া হবে। বীজ সহায়তার পাশাপাশি ৫ কেজি ও ১০ কেজি হারে ডিএপি ও এমওপি সার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। তবে, গম, সূর্যমুখী ও চিনাবাদামের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বীজ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপ-পরিচালক মজমুদার মো.ইলিয়াস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আরও এক লাখ ২০ হাজার কৃষকের জন্য বীজ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে হাইব্রিড জাতের ধানের।
প্রত্যেককে হাইব্রিড বীজ দেয়া হচ্ছে দুই কেজি করে। ইতোমধ্যে প্রণোদনা বীজ কৃষকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ৮৬ শতাংশ। এই কর্মসূচি সহায়তা পাচ্ছেন সিলেট অঞ্চলের মধ্যে সিলেটে ২৫ হাজার কৃষক, মৌলভীবাজার ২৫ হাজার কৃষক, হবিগঞ্জ ৩৫ হাজার কৃষক এবং সুনামগঞ্জ ৩৫ হাজার কৃষক বীজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মৌসুমে মহামারি করোনা পরিস্থিতিসহ বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সিলেটের প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকরা। বীজ ও সার সহায়তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তা ও কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার কয়েক দফায় প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, একজন কৃষক একবারই পাবেন এ সহায়তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।