মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ানের কাছে ২৮ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অস্ত্র বিক্রির মুখে তাইওয়ান প্রতিনিয়তই ‘কর্তৃত্ববাদী শক্তির’ কাছ থেকে সামরিক হুমকি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তাইওয়ানকে চীন ‘নিজেদের বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে যারা আবার একত্রিত হবে’। তাইওয়ানের কাছে তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বিক্রির ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। এর বর্ণনাতীত পাল্টা জবাবের হুমকিও দিয়েছে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের গণতন্ত্রের দাবিতে আরও জোর সমর্থন জানাচ্ছে। ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের অস্ত্র বিক্রির মোট ১১টি প্যাকেজ সই হয়েছে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাইওয়ানের কাছে নতুন একটি ‘ফিল্ড ইনফরমেশন কমিউনিকেশন্স সিস্টেম’ বিক্রির বিষয়টিও কংগ্রেসকে জানিয়েছে। এ বছর তাইওয়ানের কাছে যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র বিক্রি করেছে তার অর্থম‚ল্য পাঁচশ’ কোটি মার্কিন ডলার। স্বাভাবিকভাবেই চীনে এতে ক্ষুব্ধ হয়েছে এবং বেইজিং-ওয়াশিংটন উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। সেইসঙ্গে তাইওয়ানের কাছেও চীন সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন রাজধানী তাইপেতে সিকিউরিটি ফোরামের এক অনুষ্ঠানে সামরিক শক্তি বাড়তে থাকা দক্ষিণ চীন সাগর-সহ ওই অঞ্চলে হুমকির আবহের কথা বলেন। যেখানে চীন কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করে বিমান ও নৌশক্তি বাড়াচ্ছে এবং পুরো এলাকাকেই নিজেদের বলে দাবি করছে। সাই ইং-ওয়েন বলেন, ‘‘কর্তৃত্ববাদী শক্তি অবিরাম বিদ্যমান নিয়মনীতির ভিত্তিতে বিরাজমান শৃঙ্খলা ভঙ্গের চেষ্টা চালাচ্ছে। তাইওয়ান প্রতিনিয়তই এ ধরনের সামরিক হুমকি পাচ্ছে।”তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই চীনের নাম বলেননি। তবে স¤প্রতি কয়েকমাসে তাইওয়ান কয়েকবার তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য চীনকে দোষারোপ করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সা¤প্রতিক অস্ত্র বিক্রিকে তাইপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রতিশ্রুতি প‚রণ হিসাবেই দেখছে এবং এর জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছে। ওদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অস্ত্র বিক্রির নিন্দা করে যুক্তরাষ্ট্রকে তা বন্ধ করতে বলেছে। অন্যথায়, এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র আসলে তাদের সাহায্য করছে নাকি ক্ষতি করছে সেই পার্থক্য তারা (তাইওয়ান) বুঝতে পারবে বলেই আমি আশা করছি।” আল-জাজিরা, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।