Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এই শতকে ভালোবাসায় আঘাত করার চেয়ে বড় অন্যায় আর নেই : ‘লাভ জিহাদ আইন’ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:৪৩ পিএম

চলতি শতকে ভালোবাসায় আঘাত করার চেয়ে বড় অন্যায় আর নেই বলে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ভারতের ‘লাভ জিহাদ আইন’ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা।তারা রসালেঅ করে বলেন, যখন কোনো মুসলিম নারী হিন্দু কোনো পুরুষকে বিয়ে করে তখন হিন্দু গোষ্ঠীগুলো তাকে দেখে প্রেম হিসাবে। আর যখন তার উল্টোটা ঘটে তখন সেটা হয়ে যায় প্রতারণা-জবরদস্তি। এমনই এক রসালো অথচ প্রতিবাদী কথা উচ্চারণ করলেন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের শিক্ষক অধ্যাপক চারু গুপ্ত, যিনি গবেষণা করে ‘মিথ অব লাভ জিহাদ’ নামে একটি বই লিখেছেন। -বিবিসি
তার মতে, ভারতের বিরাট অংশে প্রেম এখনও বিপজ্জনক। পিতৃতান্ত্রিকতার জগদ্দল পাথর, বৃহত্তর পরিবার, ধর্ম, জাত এবং পারিবারিক সম্মানের মত বিষয় নারী পুরুষের প্রেমকে নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। তারপরও এখনও গ্রাম বা ছোটো শহরেও অনেক সাহসী নারী পুরুষ শত শত বছরের এসব সামাজিক-পারিবারিক বাধা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করে। মোবাইল ফোন, সস্তা মোবাইল ডেটা এবং সোশাল মিডিয়ার সুযোগ নিয়ে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে নারী পুরুষরা বেশি করে একে অন্যের কাছে আসছে, প্রেমে পড়ছে।

বুকার পুরস্কার বিজয়ী লেখক অরুন্ধতী রায় তার ‘গড অব স্মল থিংস‘ বইতে যে লাভ লর কথা বলেছিলেন, অর্থাৎ কাকে ভালোবাসা যাবে, কীভাবে যাবে এবং কতটা যাবে তার সামাজিক রীতি-মানদণ্ড, তা ভাঙ্গার চেষ্টা করে এসব বিদ্রোহী নারী-পুরুষ। ভারতে নারী-পুরুষের বিয়ে, পরিবারের ঠিক করা বিয়ে, একই ধর্ম-সম্প্রদায় এবং একই জাতের বিয়ের জয়-জয়াকার। এখনও ৯০ শতাংশেরও বেশি বিয়ের পাত্র-পাত্র ঠিক করে পরিবার। ভিন্ন ধর্মের নারী পুরুষের মধ্যে বিয়ের ঘটনা বিরল। এক সমীক্ষা বলছে এরকম বিয়ের সংখ্যা মোট বিয়ের মাত্র দুই শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ