Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বাবার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট মেয়ের লিখিত অভিযোগ

সাভার থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২০, ৩:৩৭ পিএম

পুলিশ পরিদর্শক বাবা মীর শাহীন শাহ পারভেজের বিরুদ্ধে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেয়ে মীর সামিয়া সুলতানা প্রেমা। অভিযোগটি আমলে নিয়ে আশুলিয়া থানার ওসিকে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
লিখিত অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে মীর সামিয়া সুলতানা প্রেমা উল্লেখ করেছেন, তার বাবা মীর শাহীন শাহ পারভেজ বর্তমানে শিবালয় সার্কেলের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত রয়েছে। র্দীঘদিন ধরে তাকে বাসায় আটকে রেখে মানুষিক নির্যাতন করে আসছে।

তিনি বলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নকালে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাষ্টার্সের ছাত্র আশুলিয়ার চোয়ালীপাড়া গ্রামের গোলাম রসুল হকেরে ছেলে আল আমিনের সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে গতবছরের ৮মার্চ কোর্ট ম্যারেজ এবং একই বছরের ১৩ জুন তারা কাজী অফিসে রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ইতোমধ্যে প্রেমা মাষ্টার্স সমাপ্ত করেন এবং সাবালিকা হন। লেখা পড়ায় ৪ বছরের সিনিয়র আল আমিন ধামরাইয়ে একটি রপ্তানিমূখী গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। আল আমিন ও মীর সামিয়া সুলতানা প্রেমার প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ কর্মকর্তা বাবা কন্যাকে নিজ বাসায় প্রায় এক বছর আটকে রাখেন। সম্প্রতি সে বাবার বাড়ী ধামরাইয়ের বরাত নগর থেকে সকলের চোখ ফাকি দিয়ে শশুর বাড়ী চৌয়ারীপাড়াতে চলে আসে।

প্রেমা জানায়, গত ২২ নভেম্বর তার ভাসুর ভেটেরিনারি চিকিৎসক ওমর আলী মটরসাইকেল চালিয়ে সাভার যাওয়ার পথে ৩টি মটরসাইকেল যোগে ৬/৭ জন অজ্ঞাত মুখোশধারী ব্যক্তি এসে পাথালিয়ার মনোদিয়া এলাকায় হাতুড়ি পেটা করে আহত করে। এ সময় ওমর আলী আহত অবস্থায় মটরসাইকেল ফেলে দৌড়ে পালিয়ে এবং মাথায় হেলমেল থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। পরবর্তীতে প্রেমা তার বাবার নাম উল্লেখ করে আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা নথিভুক্ত করেননি।
প্রেমা বলেন, তাকে ও তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজনকে হয়রানী করার জন্য তার পুলিশ কর্মকর্তা বাবা ধামরাই থানায় একটি মামলা করেছেন। এছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারনার একটি মামলায় তার স্বামী আল আমিনকে আসামী করার জন্য ওই থানা হতে আশুলিয়া থানায় একটি তদন্ত ¯িøপ পাঠিয়েছেন। যাহার পেছনে তার বাবার ইন্দন রয়েছে বলে জানায় প্রেমা।

তিনি আরও জানান, মামলায় আদালতে হাজিরা দেয়ার সময় তাদেরকে সন্ত্রাসী দিয়ে আটকে রেখে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর পাথালিয়া ইউনিয়নের চৌয়ারি পাড়া এলাকায় প্রেমার শ্বশুড় অবসর প্রাপ্ত সরকারি চাকুরে গোলাম রসুল হকের (৬৫) উপর হামলা করে তাকে আহত করেছে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গোলাম রসুল হক জানান, তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজার হতে ফেরার পথে ৩টি মটরসাইকেলযোগে মুখোশধারী অজ্ঞাত ব্যক্তিগন তাকে হাতুড়ি পেটা করে সড়কে রক্তাক্ত ফেলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তাকে আত্মীয় স্বজনগন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্সে ভর্তি করেন। তিনি এ হামলার জন্য তার বিয়াই পুলিশ ইন্সপেক্টরকে দায়ী করেন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে তার পুত্র বধু আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রেমা তার বাবার বেপরোয়া ও অমানবিক কাজের সমালোচনা করে জানান বর্তমানে তিনি ও শশুরবাড়ীর লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে পুলিশ পরিদর্শক মীর শাহীন শাহ পারভেজের সাথে যোাযোরে চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ