Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফেডারেশন কাপের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন

মুক্তিযোদ্ধার ‘দায়িত্ব নিচ্ছে’ বাফুফে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০২০, ৬:০৩ পিএম | আপডেট : ৬:৩৯ পিএম, ৮ ডিসেম্বর, ২০২০

সবকিছু ঠিক থাকলে ২২ ডিসেম্বর ফেডারেশন কাপ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য এবারের ফেডারেশন কাপের টাইটেল স্পন্সর ওয়ালটন গ্রুপ। এছাড়া টুর্নামেন্টের কো-স্পন্সর প্রিমিয়ার ব্যাংক এবং আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর ও কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বাফুফের সদস্য মো. ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ, ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর এন্ড হেড অব ইন্টারন্যাশনাল ডিভিশন শাহ মো.মঈনুদ্দিন।

ফেডারেশন কাপের স্পন্সর বাফুফে পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এই টুর্নামেন্টে খেলবে কি-না? কারণ ইতোমধ্যে ক্রীড়াঙ্গনে গুঞ্জন ওঠেছে, অর্থসংকট দেখিয়ে ফুটবল থেকে সরে যেতে চাইছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। অথচ দলটি দেশে পেশাদার লিগ চালু হওয়ার পর থেকে নিয়মিতই অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা যদি ফুটবল থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয় তাহলে এবারের ফেডারেশন কাপ এবং বিপিএল অনুষ্ঠিত হবে এক দলের কম অংশগ্রহণে। তবে বাফুফের আশা ঐতিহ্যবাহী দলটি ঠিক খেলবে দেশের ফুটবলে। সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী’র বক্তব্য অনুযায়ী বলা যায় ‘মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্ব নিচ্ছে বাফুফে’।

মঙ্গলবার ফেডারেশন কাপের টাইটেল স্পন্সর ও কো-স্পন্সরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সালাম মুর্শেদী আশা প্রকাশ করেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নামের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ক্লাবটি ফেডারেশন কাপে খেলবে, ‘আমি অবশ্যই মনে করি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ফেডারেশন কাপ ও লিগে অংশ নেবে। আমরা শুনেছি, এ নিয়ে আলোচনা চলছে এবং আলোচনায় উন্নতিও আছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নামে যে সম্পদ আছে, তাতে একটা দল চালানো কঠিন কিছু নয়। তারপরও একটা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা তৈরি হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ক্লাবের মধ্যে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র যাতে খেলে সে জন্য তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি কথা বলেছি। তারাও আলোচনা করছে। আমাদের প্রত্যাশা, আশঙ্কার যে কালো মেঘ মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবের আকাশে ভর করেছে তা সহসাই কেটে যাবে এবং দলটি ফেডারেশন কাপসহ দেশের ফুটবলে অংশ নেবে।’

যদি শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা খেলে তাহলে বিপিএলের ১৩ ক্লাবই অংশ নেবে মৌসুমসূচক টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপে। দলগুলো হলো- বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, ব্রাদার্স ইউনিয়ন, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র, রহমতগঞ্জ এমএফএস, বাংলাদেশ পুলিশ এসসি, উত্তর বারিধারা ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনী ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ।

বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন,‘আসন্ন ফেডারেশন কাপে দর্শকদের স্টেডিয়ামে খেলা দেখা নিয়ে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করবো আমরা। দর্শকের চাপ কম থাক আর বেশি, আমরা সীমিত টিকিটই ছাড়বো।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ