পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকায় বায়ু দূষের মাত্রা প্রতিদিনই বাড়ছে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ধূলিকণার পরিমাণ বেড়ে বায়ু দূষিত হচ্ছে। দূষণের মাত্রা বেড়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও এক নম্বরে চলে এসেছে ঢাকা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’ এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী গতকাল (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা আবারও সবার ওপরে উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা ছিল ২৬৯ পিএম। যা গতকাল ছিল ২৩৮ পিএম। বিশেষজ্ঞদের মতে এ মানমাত্রা খুবই অস্বাস্থ্যকর। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দিল্লি (২৬২), আর তৃতীয় অবস্থানে আছে করাচি (২৪২)। উল্লেখ্য গত ২১ নভেম্বর ঢাকা দূষণের শহরগুলোর এক নম্বরে ছিল।
বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হচ্ছে ধুলা। অপরিকল্পিতভাবে শহরের যেখানে-সেখানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি ও উন্নয়ন কাজের জন্য রাজধানীর বাতাসে ছড়াচ্ছে ধুলা। আর তাতে বিষাক্ত হচ্ছে রাজধানীর বাতাস। বায়ুমান সূচকে ঢাকার বাতাস প্রায়ই ২৫০ পিএম থেকে ৩০০ পিএম-এ পৌঁছে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। এই দূষিত বাতাসে নগরবাসী সর্দি-কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরাই এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত চার কারণে রাজধানীবাসী বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। এর মধ্যে ধুলাদূষণ হলো অন্যতম প্রধান কারণ। দ্বিতীয়ত, পুরনো যানবাহনের আধিক্য ও এসবের কালো ধোঁয়া। তৃতীয়ত, শহরের আশপাশের শিল্প-কলকারখানার দ‚ষণ। চতুর্থত, শহরের ভেতরে যে ময়লা আবর্জনা জমে সেগুলো পোড়ানোর ধোঁয়া। সিটি কর্পোরেশন যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন ঘটছে না।
ধুলাদূষণ রোধে সকাল বিকাল পানি ছিটানো এবং নির্মাণ কাজের স্থান ঢেকে রাখার জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও সংশ্লিষ্টরা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শহরের মধ্যে উন্নয়নকাজের ফলে সৃষ্ট ধুলাদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না দুই সিটি করপোরেশন। দূষণের আরেক বড় উৎস ঢাকার বর্জ্য, আর এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও তারা আধুনিকায়ন করতে পারেনি। বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, অন্যদেশের তুলনায় আমাদের দেশে দূষণ বেশি। কারণ আমাদের এক্টিভিটি বেশি। কন্সট্রাকশন বেশি, আর নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থাও নেই। দিল্লি বা কাঠমান্ডুতেও দূষণ হচ্ছে। তারাও মাঝে মাঝে দূষণের শীর্ষে চলে আসে। কিন্তু ঢাকার মতো ধারাবাহিকভাবে প্রথম হয়নি। এছাড়া এসব দেশ বায়ুদূষণ রোধে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। আমরা সে তুলনায় কিছুই করছি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।