মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফখরিজাদেহকে গত ২৭ নভেম্বর হত্যার ঘটনায় ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের’ সাহায্যে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রিত একটি মেশিন গান ব্যবহার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দেশটির বিপ্লবী গার্ডের ডেপুটি কমান্ডার স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে একথা বলেন।
ইরানের তাসনিম বার্তা সংস্থাকে রোববার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেভ্যলুশনারি গার্ডস এর ডেপুটি কমান্ডার আলি ফাদাভি বলেন, মোহসেন ফখরিজাদেহ গত ২৭ সেপ্টেম্বর ১১ গার্ডের নিরাপত্তা বহর নিয়ে ইরানের রাজধানী তেহরানের পাশের একটি মহাসড়ক হয়ে যাওয়ার সময় ওই মেশিনগান তার মুখের ওপর ‘জুম করে রাখা হয় এবং মেশিনগানটির জুমের মধ্যে তার মুখের ছবি আসা মাত্র ১৩টি গুলি করা হয়।
ফাদাভির উদ্ধৃতি দিয়ে মেহর নিউজ এজেন্সি জানায়, মেশিনগানটি একটি নিশান পিক-আপের ওপর রাখা হয়েছিল। মেশিন গানটিতে কেবল মাত্র শহীদ ফখরিজাদেহ’র মুখ মন্ডল ফোকাস করা ছিল। ঘটনার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই পথে মাত্র ২৫ সেন্টিমিটার (১০ ইঞ্চি) দূরে তার স্ত্রী থাকলে তিনি গুলিবিদ্ধ হননি।
তিনি আরো বলেন, এটি স্যাটেলাইটের সাহায্যে ‘অনলাইনে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল এবং ওই লক্ষ্য নিশ্চিত করতে এতে একটি অ্যাডভান্স ক্যামেরা ও আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ ব্যবহার করা হয়।
আলি ফাদাভি আরো জানিয়েছেন, ‘‘ঘটনাস্থলে কোনও সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল না। ফাখরিজাদেহ নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন, ওই সময় একটি অস্ত্র তার দিকে তাক করা হয়। যেটিতে অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা লাগানো ছিল এবং সেটি তার উপর জুম করা হয়েছিল।”
ফাখরিজাদেহ ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন’ এমন খবর ইরানের হাতে আগেই ছিল। তাই তার নিরাপত্তায় দেশটি সব ধরনের ব্যবস্থায়ই গ্রহণ করেছিল। কিন্তু তারপরও শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৭ নভেম্বর রাজধানী তেহরানের কাছে একটি মহাসড়কে চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হন ফাখরিজাদেহ।
ফাখরিজাদেহের ওপর এ হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত আছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে ইরান। এর আগেও ইরানের চার পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছিল (২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে)। তখনও ইসরায়েলের দিকেই আঙুল তুলেছিল ইরান।
ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ডের পরপরই কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছিলেন, প্রথম একটি ট্রাক বিস্ফোরিত হয় এবং তারপর একদল বন্দুকধারী ফাখরিজাদেহের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে।
গত সপ্তাহে ইরানের নিরাপত্তা প্রধান আলি শামখানি বলেছিলেন, ‘‘হামলাকারীরা বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করে ফাখরিজাদেহকে হত্যা করেছে। তারা হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না।”
ফাখরিজাদেহ ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন সংগঠনের প্রধান ছিলেন। তাকে ইরানের গোপন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির হোতা বলে পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দীর্ঘদিন থেকেই সন্দেহ করে আসছিল। কূটনীতিকরা তাকে ‘ইরানের বোমার জনক’ বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে এখন পর্যন্ত মোহসেন ফাখরিজাদেহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ২০১৮ সালের মে মাসে নেতানিয়াহু ইরানের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে মোহসেন ফাখরিজাদেহর নাম বলেছিলেন। সে সময় তিনি ‘এই নামটি মনে করেও রাখতে’ বলেছিলেন। সূত্র : এএফপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।