মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার মেদিনীপুরের সভায় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলনেত্রীর অঙ্গীকার, ‘‘কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব।’’
আগেই দিল্লির কৃষক-বিদ্রোহে সমর্থন জানিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন মেদিনীপুরের সভা থেকে আবারও কৃষক স্বার্থে মোদী সরকারের নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি তুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে উত্তাল রাজধানী। লাগোয়া পঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে লক্ষ-লক্ষ কৃষক দিল্লি ঘেরাও করেছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় বিক্ষোভকারীরা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পাঁচ দফায় আলোচনা হয়েছে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিদের।
তবে এখনও সমাধান অধরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষক বিদ্রোহে সমর্থন আসছে। এমনকী আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ছাপ ফেলেছে দেশের কৃষকদের এই প্রতিবাদ। নিউ ইয়র্ক থেকে লন্ডন, টরন্টো থেকে সানফ্রান্সিসকো, অকল্যান্ড থেকে বার্লিন - এই সপ্তাহান্তে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে গাড়ির মিছিল পর্যন্ত বের করছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতিমধ্যেই এই কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে একাধিক বিবৃতি দিয়েছেন, ব্রিটেন-জার্মানি বা যুক্তরাষ্ট্রের শিখ রাজনীতিবিদরাও প্রকাশ্যেই তাদের সংহতি প্রকাশ করেছেন।
এছাড়া দেশটির বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির পাশাপাশি চলচ্চিত্র জগৎ থেকে শুরু করে ক্রীড়া জগৎ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে বেশ চাপে রয়েছেন মোদী-শাহরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় আগামী ৯ ডিসেম্বর ফের কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসবে সরকার। ইতিমধ্যে সরকারের তরফে কৃষি আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কৃষকদের স্বার্থে এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল।
সোমবার মেদিনীপুরের সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগামিকাল কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করছি। ধান ছুঁয়ে শপথ করলাম। কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব। আমি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, নেতাই ভুলিনি।’’ মোদী-শাহদের নাম করে আক্রমণ শানিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘‘কৃষি আইন প্রত্যাহার করো। নয়তো সরে যাও।’’ সূত্র : এনডিটিভ, আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।