নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এক ম্যাচ হাতে রেখেই অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ট্রিকোটেক্স নারী ফুটবল লিগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বসুন্ধরা কিংস। রোববার দুপুরে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে নিজেদের একাদশ ম্যাচে বসুন্ধরা ১৩-১ গোলে জামালপুর কাঁচারিপাড়া একাদশকে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জিতে নেয়। প্রথমার্ধে বিজয়ী দল ৮-০ গোলে এগিয়ে ছিল। বসুন্ধরার অধিনায়ক দেশসেরা ফরোয়ার্ড সাবিনা খাতুন একাই ৫ গোল করেন। এছাড়া তহুরা খাতুন ও সিরাত জাহান স্বপ্না দু’টি করে এবং নার্গিস, মারিয়া মান্ডা ও শিউলি আজিম একটি করে গোল উপহার দেন। অন্য গোলটি আসে কাঁচারিপাড়া একাদশের আশার আত্মঘাতী থেকে। তবে এই আশাই কাঁচারিপাড়ার পক্ষে একমাত্র সান্তনাসূচক গোলটি করেন। এ জয়ে ১১ ম্যাচের সবক’টিতে জিতে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে থেকে লিগ সেরার মুকুট পড়েছে বসুন্ধরা কিংস। তারা এখন পর্যন্ত ১০৫ টি গোল করে বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ২ গোল। লিগের শুরু থেকে বসুন্ধরার পেছনে ছোটা নাসরিন স্পোর্টস একাডেমি ১০ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয়স্থানে আছে। বসুন্ধরার শেষ ম্যাচ এফসি উত্তরবঙ্গের বিপক্ষে। ম্যাচটি আগামী বুধবার মাঠে গড়াবে।
রোববার ম্যাচের শুরু থেকেই আলো ছড়ান বসুন্ধরার অধিনায়ক সাবিনা। ৩ মিনিটে সেই যে শুরু করেন পাঁচ গোল করে থামেন ৩৫ মিনিটে গিয়ে। অবশ্য ম্যাচের ৮ মিনিটে জামালপুর কাঁচারিপাড়া একাদশের আশা আত্মঘাতি গোল করে এগিয়ে দেন বসুন্ধরাকে। সাবিনার গোলতান্ডবের মাঝের সময়ে ২০ মিনিটে নার্গিস ও ৩২ মিনিটে মারিয়া মান্ডা গোল করলে ৮-০ তে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। পরে ৫১ ও ৮৪ মিনিটে স্বপ্না, ৫৪ ও ৭৩ মিনিটে তহুরা এবং ৮৮ মিনিটে শিউলি গোল করে কিংসের বড় জয়ের পাশাপাশি শিরোপা নিশ্চিত করেন। এর আগে ৭০ মিনিটে আশা জামালপুরের হয়ে এক গোল শোধ দেন।
কিংসের দাপুটে জয়ের পাঁচ গোল নিয়ে চলতি লিগে এ পর্যন্ত ১১ ম্যাচে ৩০ গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার চূড়ায় রয়েছেন সাবিনা। তিনি ২০১৩ সালের নারী লিগে ঢাকা আবাহনীর অ¤্র চিং মারমা’র করা ২৯ গোলের রেকর্ডটি ভাঙলেন। অ¤্রা চিং মারমা’র গোলতান্ডবের উপর ভর করেই সাত বছর আগে নারী লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী। আগের ম্যাচেই বাংলাদেশের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ২৫০ গোলের মাইলফলক অতিক্রম করেছিলেন সাবিনা। ঘরোয়া ফুটবলে সাবিনার গোল সংখ্যা এখন ২৬১টি। লিগে ১৯ গোল করে দ্বিতীয়স্থানে আছেন সাবিনার ক্লাব সতীর্থ কৃষ্ণা রানী সরকার।
বসুন্ধরা কিংসকে চ্যাম্পিয়ন করানোর পর সাবিনা বলেন, ‘দারুণ লাগছে শিরোপা জিততে পেরে। আমি খুবই খুশি। আমাদের ওপর ক্লাব কর্মকর্তাদের আস্থা ছিল। আমরা সেই আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেছি শিরোপা জয় করে। একটি ম্যাচ বাকি আছে। আশাকরি শতভাগ জয় দিয়েই শিরোপা উদযাপন করতে পারবে বসুন্ধরা কিংস।’
একই ভেন্যুতে দিনের প্রথম ম্যাচে এমকে গ্যালাকটিকো সিলেট এফসি ৩-০ গোলে হারায় বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাবকে। প্রথমার্ধে বিজয়ীরা ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। সিলেটের পক্ষে বন্যা দু’টি ও রুকসানা একটি গোল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।