পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স¤প্রতি রাজধানীর ধোলাইপাড়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে যে বিতর্ক উঠেছে সেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই দেখছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যেকোনো পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করতে হয় সেটা প্রধানমন্ত্রী জানেন বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
গতকাল শনিবার সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর দোয়েল চত্বরে অবস্থিত জাতীয় তিন নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে স¤প্রতি সরকার রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর একটি বড় ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ শুরু করে। তবে হেফাজতে ইসলামসহ ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠন ভাস্কর্যকে মূর্তির সঙ্গে তুলনা করে এর প্রতিবাদ জানায়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ভাস্কর্য ও মূর্তি এক নয়। দুটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে ইসলামপন্থীদের বিরোধ চলছে। ভাস্কর্য ইস্যুতে চলমান বিতর্কের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর দেশে দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। যারা ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছেন তারা কি জানেন না, সউদী আরবসহ বিশ্বের সব মুসলিম দেশে ভাস্কর্য রয়েছে। সেখানে যদি ভাস্কর্য ইসলামবিরোধী না হয় তাহলে বাংলাদেশে কেন হবে? সব ব্যাপারে মাথা গরম করা ঠিক না। প্রধানমন্ত্রী জানেন পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়। এজন্য ভাস্কর্যের বিষয়টা তিনি দেখছেন।
গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চেয়েছেন। আজকে গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হলেও একটি অশুভ শক্তির অপচেষ্টার কারণে এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেনি। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে আমাদের প্রতিজ্ঞা হবে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা প্রয়োজন, যেটি আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ করে না। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হলেও একটি অশুভ শক্তির অপচেষ্টা কারণে গণতন্ত্র এখনো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়নি। একটি মহল মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের আচরণে কখনো মনে হয়নি তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা আসলে গণতন্ত্রের শত্রæ। বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই, তারা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে, এটা আশা করা যায় না। এর আগে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন নেতার মাজারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমাবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও রিয়াজুল কবির কাওছার, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।
বিএনপি কি অতীত ভুলে গেছে, প্রশ্ন কাদেরের
অপর এক অনুষ্টানে সভা সমাবেশ আয়োজনে আগে অনুমতির বিষয়টি বিএনপির শাসনামলের কথা স্মরণ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা কি ভুলে গেছে যখন আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে ছিলো, তখন সভা সমাবেশে কি ধরনের বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিলো? এ সময় তিনি বলেন, গণতন্ত্র নাই বলে চিৎকার করা বিএনপির সুবিধাবাদী চরিত্রের অংশ।
গতকাল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে আয়োজিত প্রকৌশলী সমিতির সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা এবং অধিবাসীদের নিরাপত্তা বিধানে যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে ডিএমপি উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সড়ক নির্মাণে কোনো ধরনের দুর্নীতি হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।