Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাছাইয়ের বাকি তিন ম্যাচ নিয়ে সালাউদ্দিনের পরিকল্পনা

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ফিরতি ম্যাচের আগে কাতার প্রীতি ম্যাচ খেলেছে ঘানা, কোরিয়া ও কোস্টারিকার বিপক্ষে। অন্যদিকে বাংলাদেশ দল নিজেদের প্রস্তুতি সেরেছে নেপাল ও কাতারের ক্লাব দলের বিপক্ষে দু’টি করে ম্যাচ খেলে। প্রস্তুতির ব্যবধান পরিস্কার বোঝা গেছে শুক্রবার রাতে দোহায়। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশকে।।

আগামী মার্চ ও জুনে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের শেষ তিন ম্যাচ ঘরের মাঠে খেলবে লাল-সবুজরা। ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষরা হলো আফগানিস্তান, ভারত এবং ওমান। এই তিন ম্যাচের আগে জামাল ভূঁইয়াদের প্রস্তুত করতে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন। তবে কাতার ম্যাচ নিয়ে গতকাল নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন তিনি। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেয়ে শনিবারই তিনি আসেন মতিঝিলস্থ নিজ কার্যালয় বাফুফে ভবনে। সালাউদ্দিন জানান, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার মতো দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চান তিনি। তাহলেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাকি তিন ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ দল আরো ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবে।

শুক্রবার রাতে কাতারের বিপক্ষে ম্যাচটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া সালাউদ্দিন বলেন,‘সত্যি কথা কি, আমি ম্যাচটি দেখিনি। আমি ১৫ মিনিট পরপর খোঁজ নিয়েছি। কারণ, বাংলাদেশ খেললে আমি চাপ নিতে পরি না। তাছাড়া আমার শরীরটাও ভালো ছিল না। ম্যাচ নিয়ে আমার মূল্যায়ন সিম্পল। আমরা একমাস আগে ট্রেনিং ও খেলা শুরু করেছি। আমরা সবাই জানি, কাতার এখন এশিয়ার এক নম্বর দল। সর্বশেষ আড়াই বছরে জাতীয় দলের পেছনে কাতার ব্যয় করেছে ১.৭ বিলিয়ন ডলার। তার মানে কত হাজার কোটি টাকা! আমরা এক মাস আগে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ খেলে কাতার গিয়েছি। ওরা (কাতার) খেলেছে দক্ষিণ কোরিয়া, ঘানা ও কোস্টারিকার বিপক্ষে। আমাদের গোল আরো কম হলে ভালো হতো।’

মার্চ ও জুনের বাকি তিন ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা করেছি। টেকনিক্যাল ডাইরেক্টরকে নিয়ে বসেছিলাম আমাদের পরিকল্পনাগুলো তৈরি করতে। আমাদের যে তিনটি খেলা আছে তার প্রত্যেকটির আগে চার সপ্তাহের ট্রেনিং সেশন চাই। দুই সপ্তাহ ফিজিক্যাল এবং দুই সপ্তাহ ম্যাচ। আমি ম্যাচ খেলবো থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। আমাদের চেয়ে ভালো দলের বিপক্ষে। বাকি তিনটি ম্যাচ খেলার জন্য আমার ৬ কোটি টাকা লাগবে। এই টাকা আমাকে জোগাড় করতে হবে খুব দ্রুত। এই টাকা সংগ্রহ করে প্রস্তুতি নিতে পারলে আমরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে রেজাল্ট আদায় করতে পারবো।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ