Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

কৃষকের স্বপ্ন কেড়ে নিলো ঘাতক ট্রাক্টর

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

ট্রাক্টরের চাকায় কৃষক রবিউলের সংসার যেন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। সারাদিনের কৃষি কাজের টাকা দিয়ে চলছিল ৪ সদস্যের সংসার। টানাপোড়ানোর লেগেই থাকতো সংসারে। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো তাদের। এর মাঝেও ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে কোরআনে হাফেজ বানিয়েছেন। ছেলেকে আরো শিক্ষিত করার স্বপ্ন বুনে সে। স্ত্রীর কষ্টের মাঝেও যেন কোন আক্ষেপ নেই।

গত বুধবার বিকেলে লাশ যখন দাফন করার প্রস্তুতি চলছিল তখন বাড়িতে শোকের মাতম চলছিল। পরিবার ও আত্মীয় স্বজন শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছে ফারুকের প্রিয় মুখের দিকে। মা-বাবা বাকরুদ্ধ। কি হবে আগামি দিনগুলোতে। সব কিছুই যেন আজ শেষ হয়ে গেল। এভাবেই শেষ হল একটা কৃষক পরিবারের আগামী দিনের সব স্বপ্ন। শত চেষ্টা করেও কেউ পারবে কি কৃষকের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন পুরুণ করতে? সেটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতেই বলে দিবে।

বুধবার সকাল ১১টা। কুষ্টিয়া ইবি থানার মনোহরদিয়া গ্রামে কে জানতো দানব ট্রাক্কর মুহূর্তে কেড়ে নিবে তাজা প্রাণ। হাফেজ পাস করার পর করোনাকালীন বাড়িতে বাবার কাজে সহযোগিতা করতো ফারুক।

ঘটনার সময় সে মাঠে বাবার ভাত দিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌচ্ছানো মাত্র অবৈধ্য দানবরুপী ট্রাক্টরটি কৃষি জমি থেকে মাটি নিয়ে ভাটায় যাচ্ছিল ওই গাড়িতে উঠতে গিয়ে ছিটকে পড়ে হাফেজ ফারুক। আর মুহূর্তে চাকায় পিষ্ট হয় সে। ফারুক কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের কনদরপদিয়া গ্রামের রবিউল ইসলামের পূত্র।

পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত কয়েক শতক বসতভিটেই রবিউলের স্ত্রী ছেলে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন।
ইবি থানার ওসি বলেন, এই ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তাই ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষকের-স্বপ্ন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ