মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের চলমান কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে চলতি সপ্তাহের শুরুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর মন্তব্যে স্পষ্টতই দেশটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব এর সমালোচনা করে বলেন, ‘ভারতে কৃষকদের নিয়ে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কানাডিয়ান নেতাদের মন্তব্য।’
ট্রুডোর নাম উল্লেখ না করেই ভারতের মুখপাত্র বলেন যে, তার মন্তব্যগুলো ‘অযৌক্তিক, বিশেষত যখন একটি গণতান্ত্রিক দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় সম্পর্কিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘কূটনৈতিক কথোপকথন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভুলভাবে উপস্থাপন করা না হলেই ভালো হয়।’ চলতি সপ্তাহের শুরুতে গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ট্রুডো শিখ সম্প্রদায়ের সদস্য ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে ফেসবুক বৈঠকে ভাষণ ওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘কৃষকদের বিক্ষোভ সম্পর্কে ভারত থেকে আসা খবরকে স্বীকৃতি দিয়ে আমি যদি শুরু না করি তবে আমি পরিতৃপ্ত হব না। পরিস্থিতিটি উদ্বেগজনক, এবং আমরা সকলেই সেখানে আমাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধব সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। আমি জানি আপনারা অনেকের কাছেই এই বাস্তবতা একইরকম।’ ট্রুডো ভারতের পরিস্থিতিকে সম্বোধন করেছিলেন কারণ প্রতিবাদী কৃষক এবং ভারত সরকারের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়ে কানাডার নিজস্ব শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ও ভয় দেখা দিয়েছে। কৃষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে দমন করা হয়েছে, এমন পদক্ষেপে কানাডার পাঞ্জাবি প্রবাসীদের মধ্যে সমালোচনা ও উদ্বেগ জাগিয়ে তুলেছে। তবে পাঞ্জাবের ইস্যু নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক অবনতির ঘটনা এই প্রথম নয়। কানাডায় রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় শিখ সম্প্রদায় ভারতের পক্ষে একটি মূল বিষয়, যারা খালিস্তান আন্দোলনে সমর্থন করার জন্য ভারতকে সন্দেহের চোখে দেখে।
ভারতীয়রা অনেকেই যেমন এ ঘটনায় ট্রুডোর পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন, তেমনি সরকারী সমর্থকরা আবার তাকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। অনেকে আবার মনে করছেন, ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের বেশিরভাগই যেহেতু পাঞ্জাবের শিখ, তাই কানাডায় শিখ বংশোদ্ভূতদের সমর্থন পেতেই ট্রুডো সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ঐ বিবৃতি দিয়েছেন।
উদ্দেশ্য যাই হোক, ট্রুডোর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ভারতীয়রা এখন যে কার্যত দুই ভাগ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এর আগে সোমবার শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা আয়োজিত একটি ফেসবুক ইন্টারঅ্যাকশনে অংশ নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ভারতে কৃষক আন্দোলনের জেরে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।
এ বিষয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও অধিকার কর্মী প্রশান্ত ভূষণ টুইট করে বলেছিলেন, ‘আমি খুব খুশি যে ট্রুডো ভারতে কৃষকদের অধিকারের পক্ষে মুখ খুলেছেন। সব বিশ্ব নেতারাই উচিত সব দেশে গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য সরব হওয়া। এই ইস্যুটাকে যে তিনি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করছেন না, সেটাও স্পষ্ট করে দেন প্রশান্ত ভূষণ। সূত্র: ডন, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।