Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও কিছু হাসপাতাল বিদ্যুৎ বিল প্রদানে অনীহা দেখাচ্ছে বলেও জানান ওজোপাডিকোর প্রধান এ কর্তা।

প্রকাশের সময় : ২১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : আপনি কি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন? ব্যবহৃত ফোনে কি কোয়ালকম প্রসেসর রয়েছে? এ দুই প্রশ্নের উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তাহলে আপনার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত তথ্য এবং সাধের স্মার্টফোন দুটোই বড় ধরনের হ্যাকিং ঝুঁকিতে রয়েছে। সম্প্রতি সফটওয়্যার নিরাপত্তা কোম্পানি চেক পয়েন্ট জানিয়েছে, মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা কোয়ালকমের প্রসেসরে বেশকিছু ত্রুটি রয়েছে। তাই অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কোয়ালকম প্রসেসরের ত্রুটি কাজে লাগিয়ে কোনো হ্যাকার চাইলে আপনার ব্যবহৃত ফোনের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ আপনার সাধের স্মার্টফোনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়া থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত তথ্য সবকিছুই হাতিয়ে নিতে পারবে হ্যাকার। পুরো প্রক্রিয়াটিই ঘটবে আপনার অগোচরে।
সম্প্রতি বহুল ব্যবহৃত কোয়ালকম প্রসেসরসংবলিত অ্যান্ড্রয়েড ফোনে যে ত্রুটি আবিষ্কার করা হয়েছে, তার নাম দেয়া হয়েছে ‘কোয়াডরুটার’।
চেক পয়েন্ট জানায়, এটি মূলত কোয়ালকম প্রসেসরে চারটি ত্রুটির সমন্বয়ে তৈরি একটি বড় বাগ। কোয়াডরুটার ত্রুটির সাহায্যে কোনো হ্যাকার চাইলে আপনার ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। এজন্য বিশেষ কোনো অনুমতিরও প্রয়োজন হবে না। স্মার্টফোনের যাবতীয় তথ্য দেখা থেকে শুরু করে ছবি তোলা, ভিডিও ধারণ, ভয়েস রেকর্ড, জিপিএস ট্র্যাক, কি-লগিংÑসবই করা যেতে পারে। কোয়াডরুটার ত্রুটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, সাধারণ ম্যালওয়্যার জাতীয় অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিয়ন্ত্রণ চিরতরে অন্যের হাতে চলে যেতে পারে।
চেক পয়েন্টের নিরাপত্তা গবেষকরা জানান, প্রয়োজনীয় যেকোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে গ্রাহকের অনুমতিদানের পাতাটি ভালো করে পড়ে নেয়া উচিত। যদিও বেশির ভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী কাজটি করেন না। ধরুন নতুন কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়ে গেছে। এরপর সন্দেহজনক কোনো কিছু নজরে এলে দ্রুত সেই অ্যাপ আনইনস্টল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যদিও এতেই সমস্যা মিটবে না।
নিরাপত্তা গবেষকদের মতে, ম্যালওয়্যার জাতীয় অ্যাপ কোনো প্রকারে একবার ফোনে ঢুকে গেলে তা সহজে বের করা যায় না। কারণ সাইবার অপরাধীরা নিয়মিত ম্যালওয়্যার অ্যাপ্লিকেশনগুলো হালনাগাদ করতে থাকে। অর্থাৎ হ্যাকিং রোধে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের সেবাগুলোকে যতটা প্রযুক্তিগত হালনাগাদ রাখার চেষ্টা করে, ঠিক একইভাবে হ্যাকাররাও সাইবার অপরাধ সংঘটনের মূল অস্ত্র ম্যালওয়্যার হালনাগাদ করছে। এ কারণে কোনোভাবেই অনলাইন দুনিয়ায় হ্যাকিং রোধ করা সম্ভবপর হচ্ছে না। পাশাপাশি এমন কিছু ম্যালওয়্যার আছে, যেগুলো তৈরি হওয়ার সময় থেকেই ফোনে প্রি-ইনস্টল করা থাকে।
শক্তিশালী বিভিন্ন ম্যালওয়্যার থেকে মুক্তি পেতে কোম্পানি অনুমোদিত সার্ভিস সেন্টার ছাড়া গতি নেই। একমাত্র সেখানেই সফটওয়্যার প্যাচ ঠিক করা যেতে পারে। পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ আপডেট নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তা দ্রুত ডাউনলোড করে ফোনে ইনস্টল করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
জনপ্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ফোনে চেক পয়েন্ট আবিষ্কৃত সাম্প্রতিক ত্রুটির কারণে যেসব ডিভাইস হ্যাকিং ঝুঁকিতে রয়েছে সেগুলো হলো ব্ল্যাকবেরি প্রিভ, গুগল নেক্সাস ৫এক্স, নেক্সাস ৬পি, এইচটিসি ১০, এলজি জি৫, মটো এক্স, ওয়ানপ্লাস ৩ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি এস৭ স্মার্টফোনসহ আরো বেশকিছু উচ্চপ্রযুক্তিনির্ভর ডিভাইস।
নিরাপত্তা গবেষকদের মতে, বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে সর্বাধিক নিরাপদ ফোন হিসেবে পরিচিত ব্ল্যাকফোন ১ ও ব্ল্যাকফোন ২ ডিভাইসও সাম্প্রতিক নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। বাগ ফিক্স করতে কোয়ালকমের পক্ষ থেকে গত এপ্রিল ও জুলাই মাসের শেষ অবধি তাদের গ্রাহক, অংশীদার ও ওপেন সোর্স প্লাটফর্ম অ্যান্ড্রয়েডের জন্য নিরাপত্তা প্যাচ সরবরাহের কথা জানানো হয়েছে। যদিও তা যথেষ্ট নয় বলেই জানিয়েছে চেক পয়েন্ট। সূত্র : খবর বিবিসি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি কর্পোরেশন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ