Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সামগ্রিক পরিকল্পনার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২০, ১২:০০ এএম

জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠিগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের লক্ষ্যে সামগ্রিক প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন সিভিএম থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর ফর ভালনারেবিলিটি সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।

প্রধানমন্ত্রী কন্যা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুটি একটি বড় ধরনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমরা যদি ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের জীবনযাত্রার দিকে লক্ষ্য করি, তবে দেখতে পাই যে কিভাবে তারা জলবায়ু পরিবর্তনে সৃষ্ট প্রাকৃতিক সংকটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে। কি উপায়ে তারা টিকে আছে আমরা সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে সাহায্য করতে পারি।

গত সোমবার বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডভাইসরি কমিটি অন নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার্স অ্যান্ড অটিজম-এর চেয়ারপার্সন সায়মা লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশন আয়োজিত ‘সিভিএফ-সিওপি ২৬ ডায়লগ: মিটিং দ্য সার্ভাইভাল, ডেডলাইন টুওয়ার্র্ডস ম্যাক্সিমাল রেসিলিয়েন্স’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিরূপ পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো এই মানুষগুলোর জীবনযাত্রার দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাই যে অধিকাংশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো তাদের সবটুকু সামর্থ দিয়ে টিকে আছে। আমাদের এই সব মানুষেরা কিভাবে টিকে থাকতে পারে সেদিকে দিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ।
তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কথা বলার সময় আমরা তাপমাত্রা হ্রাস ও গ্রিন হাউস গ্যাস ও যেগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোর উপর জোর দেই। আমাদের নিজ দেশের মানুষের ঝুঁকিপূর্ণতার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে আমরা ওই সব মানুষের কথা ভুলে যাই।

সায়মা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অবকাঠামো ধ্বংস হয়। এছাড়াও জীবন, জীবিকা ও মানুষের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং ইকো-সিস্টেম ধ্বংস হয়ে যায় এবং এই সবকিছুর প্রভাবে পড়ে সেই সব মানুষের উপর যারা অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ। অধিকন্তু তাদের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে, তাদের অক্ষমতা ও স্বাস্থ্যগত কারণে তাদের অবস্থা আরো বিপন্ন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারির কারণে আমরা এই সব বৈশ্বিক সংকটের ভয়াবহতা সম্পর্কে যখন অবগত হচ্ছি, তখন এ বিষয়টি ভালভাবে উপলব্ধি করে সামনে এগুনোর একটি সুযোগ। উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে আমরা বুঝতে পারছি যে, যতক্ষণ না সবদিক বিবেচনা করে সামগ্রিকভাবে সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে না পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত কোন ইস্যুই আলাদা নয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিরাপত্তা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং আমি মনে করি আলাপ-আলোচনার করে আমরা প্রচুর সময় নষ্ট করি। স্বাস্থ্য বলতে আমি শারিরীক ও মানসিক উভয়কেই মনে করি। অধিকন্তু আমরা অক্ষমতার বিষয়টিকে প্রায়ই ভুলে যায়। এটি আমাদের মাথায় থাকে না শারিরীক অক্ষমতা ছাড়াও অনেক মানুষ মানসিকভাবেও প্রতিবন্ধকতার শিকার। তাদেরকে কিছু বোঝানো খুবই কঠিন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় অংশ নেন। ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ)-এর সকল সদস্য আলোচনায় যোগ দিয়ে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় কোপ-২৬ সম্পর্কে তাদের পরামর্শ ও সুপারিশ ব্যক্ত করেন। এদের সকলেই লন্ডনে বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জলবায়ু পরিবর্তন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ